ডাকসু নির্বাচন
ভুয়া আবেদনে হারানো প্রার্থিতা ফিরে পেলেন শাকিকুল
প্রতিদ্বন্দি এক প্রার্থীর ভুয়া আবেদনে প্রার্থিতা হারানো সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল সংসদের ‘সমাজসেবা সম্পাদক’ পদের প্রার্থী শাকিকুল ইসলাম ফের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। প্রতিদ্বন্দিতা ছাড়া বিজয়ী হতে একই পদের প্রার্থী হল শাখা ছাত্রলীগ নেতা মিলন খান এক শিক্ষার্থীকে দিয়ে ওই ভুয়া আবেদন করেন বলে জানা গেছে।
হল কতৃপক্ষ জানায়, একই পদে থাকা শাকিকুল ইসলামের নামে যে আবেদনপত্রটি হল অফিসে জমা দেওয়া হয়েছিল সেটি ভূয়া প্রমাণিত হয়েছে। তাই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় নতুন করে সোমবার বিকালে যোগ হয়েছে শাকিকুলের নাম।
এর আগে গতকাল রবিবার বিকালে ডাকসু ও হল ছাত্র সংসদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই তালিকায় শাকিকুলের নাম ছিল না। বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল সংসদে বিজয়ী হতে মিলন খান এই ষড়যন্ত্র করে শাকিকুলের নামে ভূয়া আবেদনপত্র জমা দেন বলে অভিযোগ ওঠে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পর থেকে শাকিকুল ঢাকার এক আত্মীয়ের বাসায় ছিলেন। তাই তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদনটি কে বা কারা করেছিল সে প্রশ্ন উঠে।
এদিকে মিলন খান সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, এই ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। এই ঘটনায় যদি তিনি কোনও ভাবে জড়িত থাকেন তাহলে স্বেছায়-নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবেন বলেও জানান।
শাকিকুলের তার আবেদনে বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার কারনে আমাকে বারবার ছাত্রলীগ থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল যাতে আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিই৷ কিন্তু আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার না করে হল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাই এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের দিন হলে আসি৷ তবে হলে এসে ভোটার তালিকায় আমার নাম খুজে পাইনি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমি নাকি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। অথচ আমি এমন কোনও আবেদনই করিনি।’
তার আবেদন তৎক্ষনাৎ গ্রহন করে যাচাই-বাছাই শুরু করে হল কতৃপক্ষ এবং খুজে পান নানা অসঙ্গতি। রবিবার রাতেই প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয় হল কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে হল কতৃপক্ষ দেখে প্রত্যাহারের আবেদনে যে ফোন নাম্বার দেওয়া হয়েছে সেটি শাকিকুলের নয়। আবেদন পত্রের নিচের দিকে দুইবার লেখা হয়েছে ভোটার নাম্বার।
হল প্রাধ্যক্ষ বিষয়টি অবহিত করেন ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমানকে। পরে ওই নাম্বারধারী শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হয়। ভূয়া এই আবেদনকারীর ফেসবুক একাউন্ট ও ইমু একাউন্টের নাম আবদুল্লাহ ইমন। সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের এই ছাত্র এসএম হলের আবাসিক।
ওই নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এস এম হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহাবুবুল আলম জোয়ার্দার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ইমনের জীবন বৃত্তান্ত আমাদের কাছে আছে। আমরা বিষয়টা দেখছি দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হল ছাত্রলীগের একাধিক নেতা ঢাকাটাইমস প্রতিবেদককে বলেন, ‘সহ-সভাপতি মিলনের প্রোরোচনায় ইমন নামে শিক্ষার্থীটি শাকিকুলের নামে ভূয়া আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন।
ঢাকাটাইমস/০৪মার্চ/এনএইচএস/ডিএম