এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার যে সুযোগ দিচ্ছে মালয়েশিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১২ মে ২০২৪, ২২:০৭| আপডেট : ১২ মে ২০২৪, ২২:১৯
অ- অ+
মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ছবি: দ্য স্টাডি ডক্টর

সদ্য এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্য দিয়েই মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ উম্মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের।

এসএসসির পর যেখানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এডমিশান নিতে হলে দুই বছর উচ্চমাধ্যমিক ও ভর্তিযুদ্ধের মতো জটিল ও কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয় সেখানে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বিশ্বসেরা ইউনিভার্সিটিগুলো দিচ্ছে সরাসরি এডমিশনের সুযোগ।

এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এ-লেভেল সমমান এক বছর মেয়াদি ফাউন্ডেশন কোর্স কিংবা আড়াই বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশান নিতে পারে।

ফাউন্ডেশন কোর্স শেষে যেকোন পছন্দের সাবজেক্টে অনার্স করার সুযোগ তৈরি হয়। একইভাবে ডিপ্লোমা সম্পন্নকারি শিক্ষার্থীরা চাইলে অনার্সের জন্য এডমিশান নিতে পারে অথবা কর্মজীবন শুরু করতে পারে। ডিপ্লোমা উত্তীর্ণদের এই সুবিধাটি সারা বিশ্বেই সমাদৃত।

বিশ্বের অন্যান্য সকল দেশের চেয়ে মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এডমিশান প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ। তাছাড়া প্রায় শতভাগ নিশ্চিত ভিসা প্রাপ্তির কারণে গেলো দুই দশকে মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ২য় সর্বোচ্চ তালিকায় রয়েছে।

তাছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আংশিক স্কলারশিপ সবার জন্যই থাকে। আর সেই আংশিক খরচ বাদে বাকি খরচ মোটামুটি বছরে তিন বা সাড়ে তিনলাখ টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ-ছয় লাখ টাকা পর্যন্তও হয়ে থাকে। খরচের বিষয়টি নির্ভর করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবজেক্টের ওপর।

এসএসসি উত্তীর্ণ একজন শিক্ষার্থীর একটি পাসপোর্ট, একাডেমিক সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্ট থাকলেই ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। আইএলটস এক্সামের বাধ্যবাধকতা থাকলেও শর্তসাপেক্ষে সেটি মালয়েশিয়ায় গিয়েও দিতে পারে শিক্ষার্থীরা।

মালয়েশিয়াতে সারা বছরই আবেদন করা যায়, তবে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সেশন হচ্ছে অক্টোবর মাসে। এই সেশনে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী আবেদন করে থাকেন। অক্টোবর সেশনের আবেদন শুরু হয় পূর্ববর্তী সেশন শুরুর পর থেকেই অর্থাৎ কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ববর্তী সেশন যদি মে মাসে থেকে থাকে তবে এপ্রিল থেকেই অক্টোবর সেশনের আবেদন চলতে থাকে।

আবেদনের শুরু থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়া অদ্বি সময় লাগে সর্বসাকুল্যে দুই মাসেরও কিছুটা কম। আর আবেদনের সকল প্রসেস শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইট থেকে নিজেই সম্পন্ন করতে পারে অথবা অধিকতর সহযোগিতার জন্য মালয়েশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক স্বীকৃত বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমেও আবেদন করতে পারে।

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান ‘দ্য স্টাডি ডক্টর’ (The Study Doctor) সহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পরামর্শ ও যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করে থাকে।

(ঢাকাটাইমস/১২মে/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ, সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
নওগাঁ থেকে বগুড়া-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ, জনদুর্ভোগ
নিউমার্কেট এলাকায় চুরি-ডাকাতির আসামিসহ গ্রেপ্তার ৪
প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকে সবসময় ভালো আচরণ প্রত্যাশা করি: ফারুক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা