রাজনীতিতে অভিভাবক দল হিসেবে আমরা বারবার ধৈর্য ধরেছি: অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপি অভিভাবক। তাই দলের নেতাকর্মীরা বারবার ধৈর্য ধরছেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মেঘনা উপজেলায় এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এ কথা জানিয়েছেন অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) মেঘনার মানিকনগর এল এস হাইস্কুল মাঠে উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী ও অঙ্গসংগঠন আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া ।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যেসব কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল -বিএনপি যেহেতু দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অভিভাবক, তাই আমাদের বারবার ধৈর্য ধরতে হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান নেতাকর্মীদের ধৈর্য বলেছেন।’
এ সময় নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন- ‘তারেক জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই।’
বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচারী সরকার দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। তারেক রহমান চান, দেশটার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে।’
আওয়ামী আমলে বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা, নির্যাতন-নিপীড়নের কথা তুলে ধরেন অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ব্যানারে বিএনপি-ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের আন্দোলনে রক্ত দিয়েছি আমরা, তাদের আন্দোলনে লোকবল দিয়েছি আমরা। তাদের আশ্রয় ও খাদ্য দিয়েছি আমরা।’
অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া বলেন, ‘আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ, ছাত্র লীগ, যুবলীগের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ব্যবস্থা করেছি আমরা।’
তরুণদের নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কোনো রাজনৈতিক দল নয় বলে মন্তব্য করে সেলিম ভুইয়া বলেন, তারা এখনো নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়নি। কমিশনরে শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এই মেঘনা উপজেলাতেই তাদের কোনো অস্তিত্ব নেই।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় মিছিলে স্লোগান দেওয়া হয়, ‘স্বৈারাচার গেছে দিল্লি, রাজাকার যাবে পিন্ডি’। ‘একাত্তরের দালালরা হুঁশিয়ার সাবধান’।
সমাবেশ ও মিছিলে স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও অন্য অ্ঙগসংগঠনের নেতারা উপস্থি ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/ মোআ)

মন্তব্য করুন