বিজেপির রাজনীতিবিদদের ‘চৌকিদার’ হওয়ার ধুম
ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে নিজেদের নামের আগে 'চৌকিদার' জুড়ে দিচ্ছেন ক্ষমতাসীন দল বিজেপির রাজনীতিবিদরা। দলের সকল নেতা-কর্মীদের টুইটারে নামের আগে চৌকিদার শব্দ যোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন মোদি। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে নামের আগে চৌকিদার বসানোর হিড়িক পড়েছে বিজেপিতে।
ভারতের হাজার হাজার টুইটার অ্যাকাউন্ট ছেয়ে গেছে 'চৌকিদার' শব্দে। অমিত শাহ থেকে পীযূষ গয়াল, শিবরাজ সিংহ চৌহান থেকে প্রকাশ জাভড়েকড়, পশ্চিমবঙ্গের মুকুল রায়সহ প্রভাবশালি নেতা থেকে কর্মী সমর্থকরাও টুইটারে নিজের নামের আগে ‘চৌকিদার’ শব্দ জুড়ে দিয়েছেন।
সম্প্রতি টুইটারে একটি ভিডিও দিয়ে মোদি ঘোষণা করেছিলেন, চৌকিদার তিনি একা নন, দেশের সব নাগরিকই চৌকিদার। বিজেপি নেতারা অস্বীকার করছেন না, রাহুল গাঁধী যে ভাবে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগানকে জনপ্রিয় করেছেন, তার থেকে মুক্তির একটাই উপায় ছিল— মোদির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সবার মধ্যে ভাগ করে নেওয়া। সম্প্রতি দিল্লির রামলীলা ময়দানে মোদি ঘোষণা করেন, একার জোরে নয়, দল এখন সামগ্রিক নেতৃত্বে যাবে।
পুলওয়ামা কাণ্ডের পরে পাকিস্তানে অভিযান হয়েছিল। তারপর জাতীয়তাবাদের হাওয়াকে তুঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন মোদি ও তার সেনাপতিরা। কিন্তু বিজেপির একটি সূত্রের মতে, ক’দিন ‘যুদ্ধ বিরতি’র পরে রাহুল যখন ফের রাফাল থেকে শুরু করে বেকারত্বের মতো বিষয়গুলি সামনে নিয়ে এলেন, তখনই মোদি বুঝতে পারলেন, শুধু জাতীয়তাবাদের কথা বলে ভোটে যাওয়া সম্ভব নয়। ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগানেরও মোকাবিলা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ‘নাম বদল’ এর পর প্রথমে যখন কয়েকজন শীর্ষ নেতা সাড়া দিচ্ছিলেন না, তখন বিরোধীরা এর সমালোচনা করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কংগ্রেস নেতারা সমালোচনা করে বলেন, মোদির পাশে নেই তার দলের নেতারা। পরে সেই নেতারাও নামের আগে চৌকিদার শব্দ যোগ করেন।
কিন্তু এসব করেও বিজেপির শেষ রক্ষা হবে না বলে জানিয়েছেন বিরোধী নেতারা। মোদি অবশ্য বিষয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। একে সামনে রেখেই হাফ ডজন টুইট করেছেন। দেশের মানুষের উদ্দেশে লিখেছেন এক টুইটে মোদি লিখেছেন, ‘মোদি ভি চৌকিদার কথাটা সকলের মধ্যে চৌকিদার সত্তাকে যে ভাবে জাগিয়ে তুলেছে, তাতে আমি খুশি।..সব চৌকিদারকে শুভেচ্ছা।’
ঢাকা টাইমস/১৮মার্চ/একে