‘বিশ্ববিদ্যালয় একদিন বন্ধ থাকলে রাষ্ট্র থমকে দাঁড়ায়’
‘বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত চিন্তার জায়গা। এখানে চিন্তা করার কৌশল ও জ্ঞানের নতুনত্ত্বকে রপ্ত করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রধান কাজ হবে জ্ঞানের নতুন কৌশলকে রপ্ত করে সর্বোচ্চ চূড়ায় আহরণ করা। কেবল সার্টিফিকেট অর্জন না করে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বাহ্যিক বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব বুঝাতে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় যদি একদিন বন্ধ থাকে তাহলে একটি রাষ্ট্র থমকে দাঁড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর মাদক, জঙ্গিবাদের নেশায় পড়ে অনেক শিক্ষার্থী বিপথে চলে যায়। শিক্ষার্থীদের সৎ, বিবেকবান মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।’
সভাপতির ভাষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন ও নেতাদের প্রধান দায়িত্ব ছাত্রদের সহযোগিতা করা। ছাত্রদের অসুবিধায় তাদের পাশে দাঁড়ানো।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আজকের ছাত্ররা আগামী দিনের বাংলাদেশ। তোমরা সত্য নীতির প্রতি সবসময় অনড় থাকবে। ক্যাম্পাসে কোন অরাজক পরিবেশ তৈরি না করতে সবার প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শেখ মঞ্জুরুল হক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান, ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রতিটি অনুষদের ডিন নিজ শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন।
এরপর অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অনুষদ ডিন, বিভাগের সভাপতি, হল প্রভোস্টসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১১এপ্রিল/এলএ)