শাবিপ্রবিতে দশ হাজার শিক্ষার্থীর ব্যায়ামাগারটি অকেজো

মাসুদ আল রাজী, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ জুলাই ২০১৯, ১১:২৯ | প্রকাশিত : ১৯ জুলাই ২০১৯, ০৮:২১

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) একমাত্র শরীরচর্চা কেন্দ্রটি (ব্যায়ামাগার) কোনোরকমে চলছে। নেই পর্যাপ্ত প্রশিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরে নেই আনুসাঙ্গিক যন্ত্রপাতিও। বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা দপ্তর কার্যালয়ের নিচ তলায় ছোট দুটি কক্ষে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা ফিটনেস ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। কিন্তু সেখানে শরীর চর্চার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই। স্থান সংকুলান এবং প্রয়োজনীয় বাজেটের অভাবে নতুন আধুনিক যন্ত্রপাতি কিনতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনের অযতœ- অবহেলায় এভাবেই চলছে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর একমাত্র ব্যায়ামাগারটি। ফলে বাধ্য হয়েই শরীর চর্চার জন্য অন্যত্র যেতে হয় শিক্ষার্থীদের।

শরীর চর্চার জন্য ছাত্রদের সকাল ৬টা থেকে পৌনে ৯টা এবং বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সময় নির্ধারিত রয়েছে। আর ছাত্রীদের জন্য ব্যায়ামাগার খোলা থাকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। ফলে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ক্লাস থাকায় শিক্ষার্থীদের সময় বের করা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার ছুটির দিনগুলোতে জিমনেসিয়াম থাকে বন্ধ। ফলে শিক্ষার্থীরা পড়েন নানা অসুবিধায়।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নেই কোনো শরীর চর্চার প্রশিক্ষক। যদিও শারীরিক শিক্ষা দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে পদটি শূন্য আছে মাত্র এক বছর ধরে। এ কারণেও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ছোট দুটি কক্ষে শরীর চর্চার জন্য সামান্য কয়েকটি উপকরণ রয়েছে। যেখানে ১০ জনের বেশি শিক্ষার্থী একত্রে শরীর চর্চা করতে পারেন না। একজনের পর আরেকজনকে অপেক্ষা করতে হয়। সাইক্লিং মেশিন, ট্রেডমিল, ক্রস ট্রেইনার, স্মিথ মেশিন, লেগ প্রেস, চাকতি, থাই এক্স, হাইট মেশিন, ওয়েট মেশিন, বেঞ্চ প্রেস, রফ চিনাফস, লেগ এক্সটেনশন, বারবেল ওয়েট যন্ত্রসহ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। এছাড়া ডাম্বেল ও বারবেল ওয়েট যন্ত্র দুটি দিনে দিনে ব্যবহারের অনুপযোগী পড়ছে। বার্বেল প্রেসার কার্লসহ কয়েকটি উপকরণ ভাঙা, কাপড় পরিবর্তন করার ব্যবস্থা নেই।

বাংলা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইউসুফ হোসেন টিটু অভিযোগ করেন, ব্যায়ামের সময় প্রশিক্ষক না থাকায় তাদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। বারবার ইউটিউব ও মোবাইল অ্যাপস দেখতে হয়। আবার অধিকাংশ সময় বিকাল ৫টা পর্যন্ত ক্লাস করতে হয়। এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে এলে মাত্র ৩০-৪০ মিনিট সময় পাওয়া যায়। এত অল্প সময় দিয়ে হয় না।

সার্বিক বিষয়ে শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক চৌধুরী সউদ বিন আম্বিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, আরও আগে থেকেই অর্থ ও স্থান সংকুলানসহ নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। তবে বর্তমান উপাচার্য আসার পর ওনার সহযোগিতায় এসব সমস্যা ধীরে ধীরে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। নতুন আধুনিক ব্যায়ামাগার নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। ৯৮৭ কোটি টাকার প্রকল্পে ব্যায়ামাগার অন্তর্ভুক্তির জন্য তাকে জানিয়েছি। প্রতি বছরই নতুন কিছু উপকরণ যোগ করছি। ইতিমধ্যে স্পিনার বাইকসহ কয়েকটি উপকরণ কেনা হয়েছে। কিছু মেরামত করছি। স্থান সংকুলানের কারণে নতুন আরও কয়েকটি উপকরণ অন্তর্ভুক্ত করা যাচ্ছে না।

প্রশিক্ষক না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, একজন ছিলেন, গত বছর তিনি পিএইচডি করতে দেশের বাইরে চলে গেছেন। ইতিমধ্যে নতুন দুজনকে নিয়োগ দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। আশা করি শিগগিরই প্রশিক্ষক নিয়োগ হবে। এছাড়া পরবর্তী সময়ে ব্যায়ামাগার খোলা রাখার সময় বাড়ানো হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :