অবশেষে দলে ডাক পেলেন কিশোরগঞ্জের হিমেল

আমিনুল হক সাদী, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০১৯, ২২:৩০

অবশেষে জাতীয় ফুটবল দলে ডাক পেলেন আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের গোলরক্ষক কিশোরগঞ্জের ছেলে মাজহারুল ইসলাম হিমেল। তাকে দলে নিতে ২৫ সদস্যের স্কোয়াডকে ২৬ সদস্য করা হয়েছে।

বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ দলের ক্যাম্প। এ ম্যাচকে সামনে রেখে ২৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছিল। স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছিলেন লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করা দেশসেরা গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল। কিশোরগঞ্জের সন্তান কৃতী এই গোলরক্ষকের দল থেকে বাদ পড়ায় বিস্মিত হন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা হিমেলকে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ মিশনের স্বপ্নযাত্রায় উপেক্ষা করায় বইছিল সমালোচনার ঝড়।

লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও গোলরক্ষক হিমেলের বাদপড়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠে। ঐতিহ্যবাহী আবাহনী, মোহামেডান, শেখ জামাল ধানমণ্ডির জার্সি গায়ে হিমেল মাতিয়েছেন ক্লাব ফুটবল। তাঁর হাতের জাদুতে একের পর শিরোপা ওঠেছে দলগুলোর হাতে। বর্তমানে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের গোলবার সামলাচ্ছেন দেশসেরা এই গোলরক্ষক।

জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি বাফুফে’র তরফ থেকে জানানোর পর মাজহারুল ইসলাম হিমেল ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “প্রিয় ক্রীড়ামোদী ও শুভাকাঙ্খী, জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার কারণে মনে অবশ্যই আক্ষেপ ছিলো। খেলার প্রতি ভালোবাসা, ত্যাগ, আত্মবিশ্বাসই এবং ইদানীংকার পারফরম্যান্স সব কিছু মিলিয়েই আক্ষেপ তৈরী হয়েছে। তবে আক্ষেপে অবশ্যই ভেঙ্গে পড়ার মতো আমি নই। আমি খেলোয়ার, খেলাটা আমার নেশা, পেশা এবং ভালোবাসা। ফিটনেস ধরে রাখতে ঘরোয়া মাঠের খেলায় আমি কোনো কমতি রাখতাম না নিশ্চয়।

জাতীয় দল থেকে বাদ পরার সংবাদে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী এবং সত্য সুন্দর ক্রীড়ামোদীদের ভালোবাসা আর আক্ষেপের বহিঃপ্রকাশ দেখে আমার আক্ষেপটা যেনো বেড়ে উঠছিলো। কর্তৃপক্ষের অনেকেই আমাকে এ নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে দুঃখও প্রকাশ করেছে।

যাহোক, বাফুফে তাদের সিদ্ধান্ত পাল্টে আমাকে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ধন্যবাদ বাফুফে কে, ধন্যবাদ ক্রীড়ামোদী ভাইবোন ও কিশোরগঞ্জবাসীকে। আপনাদের ভালোবাসা আর দোয়া আমাকে আরো এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।”

পাঁচ ফুট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার মাজহারুল ইসলাম হিমেল ১৯৮৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা প্রয়াত রাজনীতিক অ্যাডভোকেট জিন্নাতুল ইসলাম ছিলেন একজন প্রখ্যাত ক্রীড়া সংগঠক। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে হিমেল চতুর্থ।

বাবার অনুপ্রেরণায় ছোটবেলাতে ফুটবলের প্রেমে পড়েন হিমেল। শৈশবের সেই ফুটবল প্রেমই আজ তাকে পরিণত করেছে দেশসেরা গোলরক্ষক হিসেবে। অনূর্ধ-১৪, অনূর্ধ-১৭, অনূর্ধ-১৯ ও অনূর্ধ-২৩ জাতীয় ফুটবল দলে তার ধারাবাহিক নৈপূণ্য নজর কাড়ে ফুটবলবোদ্ধাদের। ফলশ্রুতিতে ২০০৬ সালে ডাক পান বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে।

জাতীয় ফুটবল দল ছাড়াও গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল আলো ছড়িয়েছেন ক্লাব ফুটবলেও। ঐতিহ্যবাহী আবাহনী, মোহামেডান, শেখ জামাল ধানমণ্ডির জার্সি গায়ে হিমেল মাতিয়েছেন ক্লাব ফুটবল। তাঁর হাতের জাদুতে একের পর শিরোপা ওঠেছে দলগুলোর হাতে। বর্তমানে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের গোলবার সামলাচ্ছেন দেশসেরা এই গোলরক্ষক।

ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

খেলাধুলা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :