বান্দরবানে পাহাড়ধসে রুমা উপজেলার সঙ্গে সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

টানা দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে বান্দরবানে পাহাড়ধসের ঘটনায় জেলা সদরের সঙ্গে রুমা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বাড়ায় এবং টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসতকারীদের আশ্রয় যেতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, টানা বৃষ্টিতে ওয়াইজংশন থেকে দুই কিলোমিটার পর ওয়াইজংশন-রুমা সড়কের এক স্থানে পাহাড় ধসে পড়ে। সকালের দিকে পাহাড়ধসের দুই পাশের সড়কে গাড়ি চললেও দুপুরের পর যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে প্রশাসন সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ও পাহাড়ধসের আশঙ্কায় জেলা শহর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে।
ওই দুই নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসতবাড়ির বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করে প্রশাসন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আসিফ রায়হান জানান, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার ৭টি উপজেলায় ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। তবে এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ আসেননি।
বান্দরবান-রুমা সড়কের পরিবহন শ্রমিকরা জানান, ওয়াইজংশন থেকে দুই কিলোমিটার পর সড়কের ওপর বড় ধরনের পাহাড়ধস হয়েছে। দুপুরের পর থেকে সড়ক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর ২৬ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের (২৬ ইসিবি) কর্মকর্তারা জানান, ধসে পড়া মাটি সরানোর কাজ চলছে। দ্রুত সড়ক চলাচলের উপযোগী করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন তারা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বান্দরবান কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মণ্ডল বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবানে ২০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পাহাড়ধস ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
(ঢাকাটাইমস/৩০মে/মোআ)

মন্তব্য করুন