মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: আজ রাষ্ট্রীয় শোক, সারা দেশে বিশেষ প্রার্থনা

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ২৭ জন নিহত ১৭১ জন আহত হওয়ার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।
গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় আজ এক দিনের শোক পালনের কথা জানানো হয়।
রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশি মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। একই সঙ্গে আহত ও নিহতদের জন্য দেশের সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তারা।
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে শোক প্রকাশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা। বিএনপি চেয়ারম্যান খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার, ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারসহ আরও অনেক ব্যক্তি, দল ও সংগঠন শোক প্রকাশ করে।
মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২৫ জনই শিশু শিক্ষার্থী। অপর দুজনের মধ্যে একজন বিমানটির পাইলট এবং অপরজন মাইলস্টোন কলেজের একজন শিক্ষিকা।
গতকালের আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দগ্ধ ১৭১ জন। তাদের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে বিমানবাহিনীর এফ-সেভেন বিজেআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয় এই স্কুলে। সঙ্গে সঙ্গেই বিমানটিতে ও স্কুল ভবনে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে স্কুল পর্যায়ে ক্লাস চলছিল। শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই হতাহত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কাজ করেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/২২ জুলাই/আরজেড)

মন্তব্য করুন