শিক্ষার্থীদের জীবন রক্ষায় আত্মোৎসর্গকারী মাহরীন চৌধুরীর সমাধিতে বিজিবির শ্রদ্ধা

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিজের জীবন উৎসর্গকারী শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিজিবি পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সকালে নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার বগুলাগাড়ি চৌধুরীপাড়ায় মাহরীনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নিরবতা পালন করেন বিজিবির ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গোলাম রব্বানী। তার সঙ্গে ছিলেন রংপুর ও ঠাকুরগাঁও বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
পরে শহীদ মাহরীন চৌধুরীসহ মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে প্রাণ হারানো সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গোলাম রব্বানী বলেন, ‘শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরী দগ্ধ হওয়ার পরও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচাতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে গেছেন। তাঁর এই সাহসিকতা ও মানবিকতা আমাদের জাতির জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষিকা মাহরীন কেবল একজন শিক্ষক নন, তিনি ছিলেন মানবতার প্রতীক। তাঁর আত্মত্যাগ আমাদের সন্তানদের শেখায় কীভাবে সাহস, দায়িত্ববোধ ও মানবিকতার মূর্ত প্রতিচ্ছবি হওয়া যায়। আমরা বিজিবি পরিবার আজ গর্বিত, তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবির রংপুর রিজিয়নের পরিচালক (লজিস্টিকস) লে. কর্নেল মোহাম্মদ নাহিদ হাসান, নীলফামারী ব্যাটালিয়নের (৫৬ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং রংপুর ব্যাটালিয়নের (৫১ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম আল দীন।
২১ জুলাই (সোমবার) দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাইমারি শাখার একটি ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। দুর্ঘটনার পরপরই ওই ভবনের নিচতলায় আগুন ধরে যায়। সেসময় ক্লাস চলাকালে ভবনের ভেতরে শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবক অবস্থান করছিলেন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে। আর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মেহাম্মদ নাসির উদ্দিন।

মন্তব্য করুন