আয়ারল্যান্ডে সাধারণ পাইলট প্রশিক্ষণ ১৯৬০ সালের বিমান দিয়েও হয়: প্রিয়তি

মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি যিনি সর্বাধিক পরিচিত মিস আয়ারল্যান্ড ও মিস আর্থ হিসেবে। বাংলাদেশি এ মডেল ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে ডাবলিন থেকে প্লেন চালিয়ে গিয়েছিলেন ফ্রান্সের কানে।
তিনি পেশায় পাইলটও। ২০১৩ সালে আয়ারল্যান্ডে পাইলট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এখন প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করছেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মডেল ও পাইলট মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি জানিয়েছেন, বিমানের বয়স নয়, বরং তার রক্ষণাবেক্ষণই নিরাপত্তার মূল বিষয়। আয়ারল্যান্ডে এখনো ১৯৬০ সালের বিমান ব্যবহার করে সাধারণ পাইলট প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে শোক এবং তীব্র আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই দুর্ঘটনার জন্য পুরনো বিমানকে দায়ী করছেন। তবে প্রবাসী পাইলট প্রিয়তি বিষয়টিকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন।
এক ফেসবুক পোস্টে প্রিয়তি বলেন, ‘বিমান কত পুরনো সেটা বিষয় নয়, বিষয় হলো সেই যন্ত্রের ঠিকমতো নিয়ম অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে কিনা।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের (আয়ারল্যান্ডে) সাধারণ পাইলট প্রশিক্ষণ হয় অনেক সময় ১৯৬০ সালের বিমান দিয়ে, যা এখানে স্বাভাবিক।’
২০১৩ সাল থেকে আয়ারল্যান্ডে পেশাদার পাইলট হিসেবে কর্মরত প্রিয়তি এখন প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করছেন। ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে তিনি নিজেই বিমান চালিয়ে ডাবলিন থেকে ফ্রান্সের কানে পৌঁছেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অবস্থায় ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমানের নিরাপত্তা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং উড্ডয়ন নীতিমালা নিয়ে এখন নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।
(ঢাকাটাইমস/২৬ জুলাই/আরজেড)

মন্তব্য করুন