দেশে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ, প্রতিরোধের উপায়

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ২৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪২| আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৫, ১২:১২
অ- অ+

জীবনে কখনো জ্বরে ভোগেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। কারণ অসুস্থ হওয়ার একটি অন্যতম উপসর্গ হচ্ছে ভাইরাস জ্বর। দেশে নতুন করে আবারও ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ—কেউ বাদ যাচ্ছে না। কয়েক দিন ধরে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও চেম্বারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চার থেকে পাঁচ দিনের জ্বর নিয়ে আসছে রোগীরা। একজনের জ্বর হলে পরিবারের অন্যরাও আক্রান্ত হচ্ছে।

সাধারণত জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার দিন তিনেকের মধ্যে সেটি ভালোও হয়ে যায় এবং এর জন্য খুব জটিল চিকিৎসার দরকার হয় না।

জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়। এটি অন্য কোনো রোগের লক্ষণ মাত্র। সবচেয়ে সাধারণভাবে বলা যায়, দেহে কোনো জীবাণুর সংক্রমণ হলে জ্বর হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদির আক্রমণে জ্বরে ভোগ মানুষ।

আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় ভাইরাস জ্বর বেশি হতে দেখা যায়। এটি সাধারণত ছোঁয়াচে হয়ে থাকে। ক্রমে এই ভাইরাসজনিত রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে একসঙ্গে পরিবারের অনেকেই আক্রান্ত হতে পারে। কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এমন ভাইরাস জ্বর পরিবারের সবাইকে আক্রান্ত করতে পারে না। জ্বরের শুরুতে এর প্রকৃতি নিরূপণ করা না গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জ্বরের ধরন ও বিভিন্ন উপসর্গ দেখেই ভাইরাস জ্বর নির্ণয় করা যায়।

পরীক্ষা করে ১০ শতাংশ ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া চিকুনগুনিয়া ও টাইফয়েডের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে অনেক রোগী আসছে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, টাইফয়েড ও মৌসুমি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে বেশির ভাগ মানুষ। এই জ্বরগুলোর সবই ভাইরাসজনিত।

উপসর্গও প্রায় একই রকম। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ ভাইরাস ও শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত জ্বরে।

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের বহির্বিভাগের দৈনন্দিন পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, কয়েক দিন ধরে জ্বর, সর্দিকাশি ও শরীর ব্যথার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বহির্বিভাগে সাধারণ সময়ে একজন চিকিৎসক গড়ে ৪০ জন রোগী দেখলেও এখন তাদের রোগী দেখতে হচ্ছে ৭০-৮০ জন।

একজন জ্বরে আক্রান্ত হলে দেখা যাচ্ছে, পরিবারের অন্য সদস্যরাও জ্বরে ভুগছে। এসব রোগীর মধ্যে ১০ শতাংশ ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে। ধারণা করা হয়, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আরো বেশি। তবে নমুনায় শনাক্তের হার কম। এ ছাড়া চিকুনগুনিয়া ও টাইফয়েডের উপসর্গ নিয়ে অনেক রোগী আসছে।

চিকিৎসকরা বলেন, জ্বর আসলে কোনো রোগ নয়; এটি রোগের একটি লক্ষণ বা উপসর্গ। অনেক কারণে জ্বর হতে পারে। সবচেয়ে কমন হলো ঠান্ডা লেগে জ্বর হওয়া বা সর্দি-কাশির কারণে জ্বর। এর বাইরে শরীরের ভেতরে কোনো কারণে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমণ হলে, অর্থাৎ ইনফেকশন হলে জ্বর হতে পারে। এ ছাড়া টিকা নিলে, ফোড়া বা টিউমার হলে, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, প্রস্রাবের রাস্তায় ইনফেকশন হলে, পিরিয়ডের কারণে, আকস্মিক ভয় পেলে বা মানসিক আঘাত পেলেও জ্বর হতে পারে।

আবহাওয়া পরিবর্তনের এই গরম-ঠান্ডার মধ্যে প্রায় প্রতিটি পরিবারে মৌসুমি জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আবার বন্যাকবলিত এলাকায় পানিবাহিত রোগ, বিশেষ করে টাইফয়েড, পেটের অসুখও হচ্ছে। এসব রোগীর একটু জটিলতা বেশি দেখা দিচ্ছে। এসব জ্বরে প্যারাসিটামল খেলেই হয়; কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের দরকার নেই।

বাইরের প্রচণ্ড গরম থেকে ফিরে অনেকে বাসায় বা অফিসে গিয়ে এসির নিচে বসে যান। অথবা বাইরে তীব্র গরম থেকে এসে ঠান্ডা পানি পান করছেন। এই ঠান্ডা-গরমের সংমিশ্রণ থেকেই জ্বর-সর্দি চলে আসতে পারে। এসব রোগীর কারো সারা গায়ে ব্যথা, হালকা জ্বর, কারো কাঁপুনি, মাথা ব্যথা, হাত-পায়ের গিরায় ব্যথা, নাক দিয়ে অঝোরে পানি পড়া বা সর্দির মতো উপসর্গ দেখা যায়।

সাধারণ জ্বরে সর্দি-কাশির সঙ্গে হালকা গায়ে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। জ্বর থাকছে চার থেকে পাঁচ দিন। তবে চার দিনের বেশি জ্বর থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ নেওয়া উচিত।

চিকিৎসকের মতে, ভাইরাল জ্বরে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অন্যান্য ভাইরাল জ্বরের মতো এটিও আপনা আপনি সাধারণত ৫ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। ভাইরাসজনিত জ্বরের অন্যান্য রোগের মতো এরও কোনো প্রতিষেধক নেই, টিকাও নেই। লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হয়।

ভাইরাল জ্বরের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো শরীরের পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, চোখ লাল হওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বাচ্চার মুখ লাল হয়ে যায়, গা প্রচণ্ড গরম থাকে, মাথা ব্যথা করে, সঙ্গে থাকে সর্দি ও কাশি। সব সময় মাথা ভারী মনে হয়। এতে বাচ্চারা দুর্বল হয়ে পড়ে।

কীভাবে বুঝবেন ভাইরাস জ্বর

* হঠাৎ জ্বর আসা ও ৭-৮ দিন ধরে চলতে থাকে

* শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়। ১০২-১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর হয়

* জ্বরের সঙ্গে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, গা ম্যাজম্যাজ করা

মাথার পিছনে, দাঁতের মাড়িতে এমনকি কানে প্রচন্ড ব্যথা করে।

ঘুমাতে না পারা, ঘুমের মধ্যে অসংলগ্ন চিন্তার রাজ্য এসে পড়া।

* বেশির ভাগ সময় জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশি থাকে

* বিশেষ ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে পেট ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে

* গায়ে, হাত-পায়ে অসহ্য ব্যথা হয়

* মুখে বিস্বাদ, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামান্দ্য হয়

* গলায় প্রচুর ব্যথা করতে পারে

* জ্বরের মাত্রা খুব বেশি হলে বাচ্চারা অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে

চিকিৎসা ও পরামর্শ

* জ্বর থাকলে জ্বর কমানোর ও শরীরের ব্যথা কমার ওষুধ দেওয়া হয়।

* জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখতে গা-হাত-পা স্পঞ্জ করতে হবে এবং মাথা ধুয়ে বাতাস করে জ্বর কমাতে হবে। জ্বর কখনোই বাড়তে দেওয়া যাবে না।

* খাওয়া-দাওয়া স্বাভাবিক রাখতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। কারণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখে পুষ্টিকর খাবার।

* পরে অন্য উপসর্গ দেখা দিলে সেই অনুযায়ী রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শমতো চিকিৎসা দেওয়া উচিত।

* বিশ্রামে থাকতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। প্রচুর ফলমূল খেতে হবে। বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

* সর্দি-কাশি, গলাব্যথা হলে সকাল-বিকেল চা বা কফি খাওয়া যেতে পারে।

* চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।

ভাইরাস জ্বর হলে আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর মধ্যে একটি হল হাইড্রেটেড থাকা। জ্বরের ফলে আপনার শরীর ঘামের মাধ্যমে তরল পদার্থ হারাতে থাকে, যা ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। প্রচুর পরিমাণে জল, ভেষজ চা, পরিষ্কার ঝোল এবং নারকেল জলের মতো ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় পান করলে আপনার হারানো তরল পদার্থ পূরণ করতে এবং আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করতে পারে।

ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আপনার শরীরের শক্তির প্রয়োজন, তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম আপনার শরীরকে আরও দ্রুত সুস্থ করে তুলতে এবং সুস্থ হতে সাহায্য করে। কঠোর পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন এবং আপনার শরীরকে সুস্থ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সময় দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করুন।

একটি ঠান্ডা কম্প্রেস আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমাতে এবং জ্বরের অস্বস্তি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে। ঠান্ডা জলে একটি পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে, অতিরিক্ত কাপড় মুড়িয়ে আপনার কপাল, ঘাড় বা বগলে রাখুন। আপনার জ্বর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য দিনে কয়েকবার এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন।

যখন আপনার জ্বর হয়, তখন আপনার ক্ষুধা কমে যেতে পারে, তবে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি প্রদানের জন্য হালকা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। স্যুপ, স্টু, সেদ্ধ শাকসবজি এবং ফলের মতো সহজে হজমযোগ্য খাবার বেছে নিন। ভারী, তৈলাক্ত বা মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন যা আপনার পেট খারাপ করতে পারে।

হালকা গরম পানিতে গোসল করলে আপনার শরীর প্রশান্ত হবে এবং জ্বর কমবে। ঠান্ডা পানিতে গোসল করা এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে আপনার শরীর কাঁপতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। পরিবর্তে, হালকা গরম পানি বেছে নিন, যা আপনার শরীরের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমাতে সাহায্য করবে।

আদার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা জ্বর কমাতে এবং গলা ব্যথা এবং শরীরের ব্যথার মতো অন্যান্য লক্ষণগুলি উপশম করতে সাহায্য করে। কয়েক টুকরো তাজা আদা জলে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন এবং ধীরে ধীরে চা পান করুন। মিষ্টি এবং অতিরিক্ত প্রশান্তিদায়ক প্রভাবের জন্য আপনি মধু যোগ করতে পারেন।

তুলসী (পবিত্র তুলসী), হলুদ এবং মেথির মতো কিছু ভেষজ উদ্ভিদের অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা জ্বর কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই উপাদানগুলি দিয়ে তৈরি ভেষজ চা পান করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, তুলসী পাতা দিয়ে তৈরি চা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে।

যদি আপনার জ্বরের সাথে সাথে নাক বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বাষ্প নিঃশ্বাসের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য উপশম পাওয়া যেতে পারে। একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিন, একটি তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন এবং কয়েক মিনিটের জন্য বাষ্পটি শ্বাসের সাথে নিন। অতিরিক্ত উপকারের জন্য আপনি পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল যোগ করতে পারেন।

আপেল সিডার ভিনেগার জ্বরের জন্য একটি জনপ্রিয় ঘরোয়া প্রতিকার। এটি শরীর থেকে তাপ দূর করতে এবং লক্ষণগুলো উন্নত করতে সাহায্য করে বলে বিশ্বাস করা হয়। এক ভাগ আপেল সিডার ভিনেগার দুই ভাগ ঠান্ডা জলের সাথে মিশিয়ে মিশ্রণটিতে একটি কাপড় ভিজিয়ে রাখুন এবং আপনার কপাল বা পেটে রাখুন।

কোনো জ্বরই আসলে অবহেলা করা উচিত নয়। উপসর্গ বুঝে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। বিশেষ করে যদি জ্বরের সাথে আরো অন্য কোন উপসর্গ থাকে এবং এক সপ্তাহের পরও সেটি ভালো না হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। সেই সাথে যারা শিশু, বয়স্ক এবং ক্রনিক কোনো রোগ বা আগে থেকেই স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে তাদের এ বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া উচিত।

জ্বরের সাথে ঘাড় বা শরীরের ব্যথা, উচ্চ তাপমাত্রা, বমি করা বা খাবার খেতে না পারা, তিনদিনের বেশি জ্বর থাকা, শুধু রাতে জ্বর আসা, শরীরে র‍্যাশ বের হওয়া, চোখ শুকিয়ে যাওয়া, খিচুনি হওয়া-ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৬ জুলাই/আরজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর আবু হাসান মুহাম্মদ তারিককে ওএসডি করল সরকার
বিএনপি রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তনের বিষয়ে সচেতনভাবে এগুচ্ছে: মির্জা ফখরুল 
জনগণের জন্যই নতুন সংবিধান তৈরি করা হবে: নাহিদ ইসলাম
ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা