দরদী মন নিয়ে সেবা দেয়ার আহ্বান বিএসএমএমইউ উপাচার্যের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট ২০১৯, ২১:১৪

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে দরদী মন নিয়ে রোগীদের সেবা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ব¦বিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া।

বুধবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও শোকের মাসে নিরাময় অযোগ্য ও শয্যাশায়ী রোগীদের জন্য গৃহসেবার কার্যক্রমের (হোম কেয়ার প্রকল্প) শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, অসুস্থ ব্যক্তি যদি কোনো কারণে সেবা প্রতিষ্ঠানে না পৌঁছাতে পারেন তবে ‘সেবা- রোগীর কাছে যেয়ে পৌঁছাবে এই দর্শনটিই প্রকাশ পায় হোম কেয়ার সার্ভিস বা গৃহসেবার মাধ্যমে। জীবনের প্রান্তিক মুহূর্তে অনেক রোগী তার নিজ বাসায় আপন প্রিয়জনের মাঝে থাকার ইচ্ছা পোষণ করেন।

কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেবা প্রয়োজন এমন অনেক রোগীই হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না নানাবিধ কারণে। কখনো শয্যাশায়ি, কখনো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কেউ নেই, কখনো বা আর্থিক দূরাবস্থা। আবার কখনো হয়তো হাসপাতালের বিছানা দুষ্প্রাপ্য। এছাড়া অনেক সময় হাসপাতালের চাইতে বাসায় সেবা প্রদান অনেক বেশী কাম্য হয়ে পড়ে। এদের ভেতর আবার অনেকেই সম্পূর্ণ শয্যাশায়ী, বড় একটি ঘা, তীব্র ব্যাথা অথবা শ্বাস কষ্ট নিয়ে বাসায় পড়ে আছে। বেশিরভাগই অর্ধচেতন অথবা অচেতন হয়ে শুধু মাত্র পরিবারের সীমিত অদক্ষ সেবা আর পরিচর্যার ওপর নির্ভরশীল।

বিএসএমএমইউর উপাচার্য বলেন, নিরাময় অযোগ্য রোগীর চিকিৎসাসেবাকে কেন্দ্র করে এই সব জটিলতাকে যতটা সম্ভব সহজ করার মাধ্যমে রোগী ও তার পরিবারের জীবন যাত্রার গুণগত মান বৃদ্ধিতে প্যালিয়েটিভ গৃহসেবার গুরুত্ব অপরিসীম। এই সেবার উদ্দেশ্য- রোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের দৈনন্দিন কষ্টগুলোকে কমিয়ে আনা এবং জীবনের মান উন্নয়নে সহায়তা করা। একই সাথে হোমকেয়ার প্রদানের সময় পরিবারের সদস্যদেরকে সেবা এবং পরিচর্যার মৌলিক দক্ষতাগুলো হাতে কলমে শিখিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়।

২০০৮ সাল থেকে বিএসএমএমইউ সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিরাময় অযোগ্য ও শয্যাশায়ী রোগীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সপ্তাহে পাঁচদিন ডাক্তার, নার্স, প্যালিয়েটিভ কেয়ার সহকারীর (পিসিএ) সম্মিলিত একটি প্রশিক্ষত দলএই সেবা দিয়ে আসছেন। বিএসএমএমইউর ২০ কিলোমিটারের মধ্যে রোগীদের বাসায় গিয়ে সেবা দেন তারা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই সেবা জুন ২০১৯ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সংগঠন ও মানুষের ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিএসএমএমইউয়ের বর্তমান প্রশাসন এই মহতী গৃহসেবা প্রকল্পকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কর্মকাণ্ডের আওতায় নেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিরাময় অযোগ্য রোগীদের দ্বারপ্রান্তে চিকিৎসাসেবা সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার ইতিহাসে বিএসএমএমইউয়ের এটা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

নিরাময় অযোগ্য ও শয্যাশায়ী রোগীরা এই সেবা গ্রহণের জন্য প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বর্হিবিভাগের ৫১১ নম্বর কক্ষে যোগাযোগ করতে পারবেন।

সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ারের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) শহীদুল্লাহ সিকদার, মেডিসিন অনুষদের ডীন জিলন মিঞা সরকার, অধ্যাপক নিজাম উদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/২৮আগস্ট/এএ/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :