মশা নিধন, ফুটপাতে উচ্ছেদে আবার ‘চিরুনি অভিযান’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৪৯
এডিস মশার লার্ভা শনাক্তে চিরুনি অভিযান (ফাইল ছবি)

মশা নিধনে আগামী রবিবার থেকে দ্বিতীয় দফা ‘চিরুনি অভিযানে’ নামছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। আর ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ফুটপাতের অবৈধ দখল উচ্ছেদ।

বুধবার রাজধানীর গাবতলী বেড়িবাঁধে সিটি কপোরেশন বাজারে রাখা সিটি করপোরেশনের পুরনো মেশিন এবং আমদানি করা নতুন মেশিন পরিদর্শন এবং এর কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে আসেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এসময় তার সঙ্গে থাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এ কথা জানান।

এক প্রশ্নে মেয়র বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ করেছি যে, ১৫ তারিখ থেকে দ্বিতীয় দফার চিরুনি অভিযান শুরু করব। আমরা ৩৬৫ দিন কাজ করব।’

গত ২৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট ঢাকা উত্তরের প্রতিটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার খোঁজে 'চিরুনি অভিযান' শুরু হয়। এক লাখেরও বেশি বাড়িতে অভিযানে যায় তারা। এ সময় দুই শতাংশের কিছু বেশি বাড়িতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস ইিজপ্টি মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তবে অর্ধেকের বেশি বাড়িতে এডিস জন্মানোর উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

এই অভিযান চলাকালে এডিসের উপযোগী পরিবেশ থাকায় বেশ কিছু হাসপাতাল ও বাণিজ্যিক স্থাপনাকে মোট ৬৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কারাদ-ও দেওয়া হয় তিন জনকে। তবে আবাসিক ভবনের মালিকদেরকে জরিমানা না করে সতর্ক করা হয়। জানানো হয়, দ্বিতীয় দফা অভিযানে গিয়ে একই পরিবেশ থাকলে জরিমানা করা হবে।

যেসব স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে, সেগুলোতে সে সময় ‘এ বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে এসেছে সিটি করপোরেশন।

চিরুনি অভিযানের প্রথম পর্ব চ্যালেঞ্জ ছিল উল্লেখ করে মেয়র আতিকুল বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কয়েকবার মিটিং করেছি, আমরা ডেঙ্গু দমনে প্রথম পর্ব শেষ করেছি। প্রথম পর্ব শেষ করে কিন্তু আমরা অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি। আবার আমরা এটাও দেখেছি, আমাদেরকে কিন্তু অনেকে স্বাগত জানিয়েছেন। ওনারাই বলছেন যে আমরা এরপরে আবার কখন আসব।’

ডেঙ্গু দমনে সারা বছরের জন্য যে পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে, তাতে আধুনিক মেশিন ও চতুর্থ প্রজন্মের মশক নিধন ওষুধ নিয়া আসা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিক। বলেন, “আমরা ‘ইন্ডিগেটর ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট’ নিয়ে কাজ করছি। আগামী পাঁচ বছর সিটি করপোরেশন কী কাজ করবে সে বিষয়ে একটা প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে দেব। এর মধ্যে থাকবে ‘ফোরথ জেনারেশন মেডিসিন’। বিদেশে অনেক দেশেই এর মধ্যে এটির ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে।”

“এরপর আমরা নিয়ে আসব ‘ভ্যাকেল মাউন্টেন ফগার’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমরা এই ফগার ব্যবহার করব এবং এটা খুব কার্যকরী। আমাদের যারা পায়ে হেঁটে যায় তারা ৪০ মিনিট মেশিন চালাতে পারে। আমরা যে মেশিনটা নিয়ে আসব, সাড়ে তিন ঘণ্টা যাবত ফগিং করতে পারবে।”

এ সময় ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পরিকল্পনা নিয়েও জানান মেয়র। বলেন, ‘মানুষ যেন ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে পারে, রাস্তায় যেন গাড়ি চলাচল করতে পারে। ...আমি মনে করি, জনগণ সবাই আমাদের সাথে থাকলেই আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারব।’

ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/কারই/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :