বুকার পুরস্কার পেলেন মার্গারেট এটউড ও বার্নারডিনে এভারিস্টো

কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে প্রথমবারের মতো বুকার জিতেছেন ব্রিটিশ লেখক বার্নারডিনে এভারিস্টো। তার সঙ্গে বিশ^সাহিত্যের অন্যতম এ পুরষ্কার পেয়েছেন কানাডীয় লেখক মার্গারেট এটউড।

গত সোমবার লন্ডনের গিল্ডহলে বুকার পুরষ্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। ‘উইমেন’ বইয়ের জন্য বার্নারডিনে এভারিস্টো এবং দ্বিতীয়বারের মতো ‘দ্য হ্যান্ডমেইডস টেল’ বইয়ের জন্য মার্গারেট এটউডকে বুকার পুরষ্কার দেয়া হয়। পুরস্কারের অর্থ ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা উভয় লেখককে সমান ভাবে ভাগ করে দেয়া হবে।

বুকারের ইতিহাসে এটি তৃতীয়বার যৌথভাবে পুরষ্কার দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১৯৬৯ সালে ম্যান বুকার পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। ১৯৯৩ সালে নিয়ম করা হয়েছিল যে বুকার পুরস্কার কখনোই যৌথভাবে দেয়া হবে না। কিন্তু চলতি বছর সে নিয়ম ভাঙতে বাধ্য হয়েছেন বিচারকরা।

যৌথ পুরষ্কার সম্পর্কে বুকার পুরষ্কার ফাউন্ডেশনের সাহিত্য বিষয়ক পরিচালক গ্যাবি উড বলেন, বুকারের বিচারকেরা টানা পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা জনপ্রিয় বইগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে বুঝতে পারেন যে এক জনকে বিজয়ী করা অসম্ভব।

প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে বুকার পুরস্কার জয়ী বার্নার্ডাইন নিজের অনুভূতি সম্পর্কে বলেন, ‘‘এমন অনেক পুরস্কারই আছে যেগুলো নির্দিষ্ট কোনও গোষ্ঠীর মানুষ পায় না। এবং এটা সত্যি যে কৃষ্ণাঙ্গরা সাহিত্যে খুব বেশি পুরস্কার পায় না। এটা কেউ খেয়াল করলেও ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘এর আগে কখনও কৃষ্ণাঙ্গ নারী এই পুরস্কার পায়নি। মাত্র চারজন সংক্ষিপ্ত তালিকায় ঠাঁই পেয়েছিলেন। কিন্তু কখনও পুরস্কার হাতে ওঠেনি। আমি আশা করি পরবর্তীতে আরও কৃষ্ণাঙ্গ নারী এই পুরস্কার পাবেন।’’

এছাড়া, ২০০০ সালে ‘ব্লাইন্ড অ্যাসাসিয়ান’ বইয়ের জন্যও বুকার পুরস্কার লাভ করেছিলেন কানাডার নাগরিক মার্গারেট এটউড। দুটি বুকার পাওয়ার তালিকায় তিনি চতুর্থ। সবচেয়ে বয়স্ক বুকারজয়ীর রেকর্ডও গড়েছেন ৭৯ বছর বয়সী মার্গারেট অটউড।

ঢাকাটাইমস/১৫অক্টোবর/আরআর