করোনা আতঙ্কে রোগীশূন্য মুগদা হাসপাতাল
রাজধানীর পূর্বাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসার একটি বড় কেন্দ্র মুগদা জেনারেল হাসপাতাল। ৫০০ শয্যার এই সরকারি হাসপাতালটি অন্য সময় রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেলেও এখন দৃশ্যপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আতঙ্কে রোগীশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম এই হাসপাতালটি। আগে প্রতিদিন যেখানে হাজার হাজার রোগী ইনডোর ও আউটডোরে এসে ভিড় জমাতো এখন সেখানে ফাঁকা পড়ে আছে।
রাজধানীর এই হাসপাতালটিতে শুধু বেড নয় বারান্দায়ও রোগীতে ঠাসা থাকতো। আর এখন ইনডোর-আউটডোর কোথাও নেই রোগীর চাপ। একধরনের ভুতুড়ে অবস্থা বিরাজ করছে হাসপাতালটির ভেতরে ও বাহিরে। করোনা আতঙ্কের রোগীরা হাসপাতালে আসছেন না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মুগদা জেনালেল হাসপাতালের পরিচালক শহিদ মো. সাদিকুল ইসলাম ঢাকা টামসকে বলেন, আগে সাধারণত ছয়-সাতশ রোগী নিয়মিত ভর্তি থাকতো। ডেঙ্গুর মৌসুমেতো হাজারেরও বেশি ছিল রোগীর সংখ্যা। আর এখন সবমিলিয়ে ভর্তি আছেন মাত্র ১৩৬ জন রোগী।
শ্বাসকষ্ট, এজমা ও জ্বর নিয়ে এলে হাসপাতলে রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে এই হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ‘কোনো হাসপাতাল থেকে যদি করোনা আক্রান্ত বলে নিশ্চয়তা দেয় সে ক্ষেত্রে আমরা চিকিৎসা দিই না। যদি এমন কেনো নিশ্চয়তা না থাকে তবে করোন থাকলেও আমরা তাকে ভর্তি করছি।’
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে জানিয়ে সাদিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বারো তলায় একটি ওয়ার্ড আলাদা আলাদা কক্ষ করে প্রস্তুত করে রেখেছি। যদি কেউ এই ধরনের লক্ষণ নিয়ে আসেন কিংবা আমাদের সন্দেহ হয় সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেম্পল পাঠিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।’ এই ধরনের রোগীদের জন্য আলাদা অ্যাম্বুলেন্সও ঠিক করা আছে বলে জানান তিনি।
সাদিকুল বলেন বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী আসতো। করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর এখন সেখানে রোগীর সংখ্যা একদম কমে গেছে। নতুন রোগী ভর্তিও হচ্ছে খুব কম।’
(ঢাকাটাইমস/০৮এপ্রিল/এসআর/জেবি)