অরিত্রীর আত্মহনন

দুই শিক্ষকের জামিন বাতিল, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট ২০২০, ১৪:৪৯| আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২০, ১৫:৪৮
অ- অ+

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহননে প্ররোচিত করার মামলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখার প্রধান জিন্নাত আক্তারের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রবিবার দুপুরে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন অরিত্রীর মা বিউটি অধিকারী সাক্ষ্য দেন। তবে আসামি পক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় তাদের জামিন বাতিল করেন আদালত। একই সঙ্গে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন হাওলাদার জানান, রবিবার এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ভিকটিমের মা সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেন। আর আসামিরা হাজির হননি এবং তাদের পক্ষে আইনজীবীরা কোনো পদক্ষেপ নেননি। তাই বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে ভিকটিম অরিত্রীর মা বিউটি অধিকারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিনাত আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

এর আগে অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে গত ১৬ জুন জামিন পান প্রতিষ্ঠানটির দুই শিক্ষক।

গত ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।

মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ৯ ডিসেম্বর জামিন পান তিনি।

অন্যদিকে গত ১৪ জানুয়ারি কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। অরিত্রীর আত্মহত্যায় ঘটনায় পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করেন।

অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করা হয়েছে- এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপ্যাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এসময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

অরিত্রীর আত্মহননের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় স্কুলের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/আরজে/ডিএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যেন একটা মাফিয়া সংগঠন!
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর দিয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন শফিকুল আলম
এসআই সুকান্তকে কারাগারে প্রেরণ 
চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর, আসছে ৩ দিনের ছুটি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা