সোলার প্রকল্পের অর্ধকোটি টাকা ‘আত্মসাৎ’

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২২:০৬ | প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:১১

জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্ধকোটি টাকার বিল উত্তোলন করে তা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। কাবিখা প্রকল্পের সোলার হোম সিস্টেম খাতের বরাদ্দ সোলার বিতরণ না করে তা আত্মসাতের এ ঘটনা ফাঁস হওয়ায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তালিকাভুক্তরা তাদের নামে বরাদ্দ সোলার প্রদানের জন্য দাবি জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ।

তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিহাব উদ্দীন জানিয়েছেন, এক বছর আগেই সোলারের বিল প্রদান করা হয়েছে। যদি কোনো সুবিধাভোগী সোলার না পেয়ে থাকেন, তাহলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার সোলার হোম সিস্টেম খাতে ২৩ হাজার ৬৬০ টাকা মূল্যে (৬০ ওয়ার্ড) ২১৯ টি সোলারের জন্য ৫৬ লাখ ৬০ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলার পোগলদিঘায় ১৮৪টি, কামরাবাদে ১৬টি, আওনায় ১৩টি ও মহাদান ইউনিয়নের নামে ছয়টি সোলার বরাদ্দ দেওয়ার পর দীর্ঘ এক বছর পার হলেও সুবিধাভোগীরা সোলার পাননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পোগলদিঘা ইউনিয়নের কান্দারপাড়া, গেন্দারপাড়া, বয়ড়া ও রামচন্দ্রখালী গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুবিধাভোগীদের মধ্যে ৭০ ভাগই এখনো পর্যন্ত সোলার পাননি।

গেন্দারপাড়া গ্রামের দুলাল মিয়া জানান, তার স্ত্রী আম্বিয়া বেগম, ভগ্নিপতি মজনু মিয়া, ভাতিজি আছিয়া বেগমের নামে ২০১৯ সালে সোলার বরাদ্দ হয়। বরাদ্দের তালিকায় ৮৫, ৮৬ ও ৭ নম্বরে তাদের তালিকা রয়েছে। তাদের মতো উপজেলার অন্যান্য গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাদের নামে সোলার বরাদ্দ হলেও এখন পর্যন্ত তারা কোনো সোলার পাননি। সরকারি অর্থে বরাদ্দ সোলার পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারকে বাদ দিয়ে স্থানীয় ‘সান পাওয়ার সোলার হোম সিস্টেম’ নামে একটি কোম্পানির নামে কাজ দেখিয়ে পুরো টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তালিকাভুক্ত পরিবারের মাঝে কোনো সোলার বিতরণ করেননি তিনি। ঠিকাদারের নামে বিল উত্তোলন করে তিনি নিজেই তা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানিয়েছে উপজেলা পরিষদ সূত্র ।

সূত্রে আরও জানা গেছে, সোলার টিআর কাবিখা, কাবিটা ও চল্লিশ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পসহ করোনা ও বন্যায় দুস্থ্ মানুষের জন্য বরাদ্দ জিআর-ভিজিএফ বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন এই কর্মকর্তা। এসব বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে তদন্ত করা হলে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে।

পোগলদিঘা ইউনিয়নের ১৮৪টি সোলার বরাদ্দের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সামসউদ্দিন জানান, এমপিদের বরাদ্দের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদকে জানানো হয় না, এজন্য এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

এ বিষয়ে কয়েকবার ওই কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

(ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :