দেশে হিজড়ার সংখ্যা জানতে শুমারি হবে

দেশের হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রকৃত সংখ্যা জানতে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় আদমশুমারিতে নারী-পুরুষের পাশাপাশি হিজড়াদের আলাদা লিঙ্গ পরিচয় যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র মহাপরিচালক মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম।
বুধবার দুপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বন্ধু) আয়োজিত ‘জনশুমারিতে হিজড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্তকরণ’ অনলাইন পরামর্শক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জনশুমারির নির্দিষ্ট ফরমে নারী-পুরুষের পাশাপাশি আলাদা লিঙ্গ হিসেবে হিজড়াদের তথ্য সংগ্রহের জন্য আলাদা স্থান থাকবে’। তবে এই শুমারির মাধ্যমে হিজড়াদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় সম্ভব হবে কিনা, সে বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, যেহেতু হিজড়ারা বেশীরভাগই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন এবং ভাসমান, তাই সবাইকে জনশুমারির আওতায় আনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম বলেন, ‘প্রত্যকে মানুষের জন্য আত্মস্বীকৃতি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। তাই আদমশুমারিতে হিজড়া জনগোষ্ঠীর সদস্যদের স্বেচ্ছায় অন্তর্ভূক্ত হওয়া উচিত। এজন্য পরিবার সদস্যদের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে’। তথ্য সংগ্রহের কাজে নিযুক্ত কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার জানিয়ে নাসিমা বেগম বলেন, জনশুমারিতে যারা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ করেন তাদের হিজড়া ইস্যুতে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর সহায়তায় বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রশিক্ষণে ভূমিকা রাখতে পারে বলেও জানান তিনি।
আদমশুমারিতে হিজড়াদের সংযুক্তি ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)- ২০৩০’ অর্জনে সরকারের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা।
(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/এআর/ইএস)

মন্তব্য করুন