ভার্চুয়ালি জামিন-জরুরি বিষয় নিষ্পত্তি করবে বিচারিক আদালত
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১২ এপ্রিল থেকে জামিন আবেদন ও অতি জরুরি ফৌজদারি আবেদনগুলো বিচারিক আদালতে ভার্চুয়ালি উপস্থিতির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব কাজের উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
রবিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়, সরকারি ছুটি ছাড়া বাংলাদেশের প্রত্যেক এলাকায় জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, শিশু আদালতের বিচারক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি আইন-২০২০ এর জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে শুধু জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি আবেদন নিষ্পত্তি করতে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বিরাজমান পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ হতে জামিনের আদেশের ক্ষেত্রে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেটের জামিননামা সংশ্লিষ্ট জায়গায় দাখিল করতে হবে।
এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রজ্ঞাপনের কপি পাঠানো হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে।
ঢাকাটাইমস/১২এপ্রিল/এআইএম/এমআর