বরগুনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর হামলায় নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকসহ আহত ৩০

বরগুনা সদর উপজেলার ৫ নম্বর আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী এম মুজিবুল হক কিসলু ও তার সমর্থকদের ওপর বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) ও তার সমর্থকরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ৫ নম্বর ইউনিয়নের নয়া বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বর্তমান চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে রামরা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন নৌকার প্রার্থী এম মুজিবুল হক কিসলু। পথে নয়া বাজার এলাকায় তাদেরকে ঘেরাও করে দেশীয় অস্ত্র রামদা, ছেনা, টেটা, বল্লম নিয়ে হামলা চালান মোশাররফ হোসেন ও তার সমর্থকরা। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এসময় ১৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও হামলাকারীরা নৌকা মার্কার সমর্থক মজনু ও হেলাল শরীফের মাথায় এলোপাতাড়ি কোপ দেন এবং টেঁটা বিঁধিয়ে দেন। তাদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। এদিকে বেলা তিনটার দিকে সদর থানা-পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যাতে কেউ জীবন নিয়ে পালাতে না পারে তাই হামলা চালানোর আগে নয়াবাজার ব্রিজের স্লিপার উঠিয়ে ফেলেন হামলাকারীরা।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, এ হামলায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। আমিও আহত হয়েছি। পুলিশ আমাদের উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পাশাপাশি জেলা নির্বাচন অফিসেও লিখিত অভিযোগ করব। তিনি আরও বলেন, গত ৮ জুন থেকে প্রতিদিন তার সমর্থকদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করছে মোশাররফ হোসেন ও তার সমর্থকরা। এই ক'দিনের সহিংসতায় তার ৪৬ জন কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৬ জনের অবস্থা গুরুতর।

এ ব্যাপারে কথা বলতে বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা মিলেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকাটাইমস/১২জুন/ইএস