অদ্ভুত এক ভালোলাগা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে সাফারি পার্ক,তাও আবার আমার বাড়ির পাশে আমার উপজেলা জুড়ীতে। এমন ভালোলাগা, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি লক্ষ বার কুর্নিশ করলেও ঋণ শোধ হবে না। তবুও জুড়ী-বড়লেখার আপামর জনসাধারণের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর বাড়ি যদি আমাদের সংসদীয় আসনে না হয়ে অন্য যে জেলায়-ই হত, আমি বিশ্বাস করি সাফারি পার্কের প্রস্তাব নিশ্চিতভাবে সেখানেই হইত। সুতরাং আমরা জুড়ী-বড়লেখাবাসী সৌভাগ্যবান যে বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় আমাদের সংসদীয় আসনের তাই তিনি বঙ্গবন্ধুর নামে সাফারি পার্কের জন্য স্থানটি জুড়ী উপজেলাতে নির্ধারণ করেছেন।ধন্যবাদ জানাই মাননীয় মন্ত্রী জনাব আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন আহমেদকে।
সরকারের এত বড় একটি উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ আমাদের উপজেলাতে হচ্ছে যেখানে
# আমাদের উপজেলার মানুষের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
# মানুষের জীবন-যাপনের মান বৃদ্ধি পাবে।
# এলাকার জায়গা-জমির দাম বৃদ্ধি পাবে।
# উপজেলার শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের জন্য চাকরীর নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।
# উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের এলাকা অনেকগুণ এগিয়ে যাবে
# সাফারি পার্কের কারণে শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বে আমাদের উপজেলার নামটি পরিচিতি পাবে।
সুতরাং আমাদের উপজেলার আপামর জনসাধারণ এই উন্নয়নের পক্ষে।
সাফারি পার্ক নিয়ে আমার একান্ত ব্যক্তিগত ভাবনা-
১. সাফারি পার্কে বিপুল পরিমাণে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে। আমাদের জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের মধ্য থেকেই অধিকাংশ জনবল নিয়োগ দিতে হবে।
২. সাফারি পার্ককে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এই এলাকায় বসবাস করবে,তাই সেখানে ভালো মানের একটা প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটা উচ্চ বিদ্যালয় এবং একটা কলেজ নির্মাণের দাবি করছি।
৩. সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুরোপুরি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. উপজেলা শহর থেকে সাফারি পার্কের জন্য যে গ্যাস নেয়া হবে তা থেকে আশে পাশের মানুষের ঘর বাড়ীতে গ্যাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. সারা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিপন্ন দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ, যার অন্যতম কারণ হচ্ছে অবাধে গাছপালা কেটে ফেলে বনাঞ্চল ধ্বংস করা।বাংলাদেশও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, সুতরাং সাফারি পার্কের কারণে যাতে চিরসবুজ এই বনের প্রাণ-প্রকৃতি বিনষ্ট না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে।
৬. বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার “বঙ্গবন্ধু”র নামে এই প্রকল্পে কোনো দুর্নীতিবাজ বা দুর্নীতির সাথে জড়িত কোন লোক যদি থেকে থাকে তাহলে এই প্রকল্পটি অনেকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করতে পারে।সুতরাং এরকম কোন লোক যাতে স্থান বা সুযোগ না পায়, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।
আমরা ঐক্যবদ্ধ জুড়ীবাসী জাতির পিতার নামে এই সাফারি পার্কের বাস্তবায়ন চাই, আর কোনোদিন হয়তবা এমন সুযোগ আসবে না,অন্যথায় মনে হবে আসলেই ‘আমরা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝি না’
লেখক: সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ

মন্তব্য করুন