রক্তে শর্করার স্বাভাবিক মাত্রা কত?

রক্তে শর্করা মানুষের শরীরে শক্তির মূল জোগানদাতা। শর্করা ভেঙে গ্লুকোজ তৈরি হয়। এই গ্লুকোজ একাই স্নায়ুতন্ত্রের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। মানুষের প্রতিদিনের খাবারে মোট ক্যালরির ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ শর্করা থাকা উচিত। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে না পরালে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হতে পারেন সুগারের রোগীরা। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ না করলে হৃদরোগ, কিডনি রোগ ও দৃষ্টিশক্তি হারানোর মতো জটিলতার ঝুঁকি রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে রক্তে ৫.৭ শতাংশ শর্করা থাকলে তা স্বাভাবিক। আর মাত্রাটি ৬.৫ শতাংশের বেশি হয়ে যাওয়া মানেই তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
সমীক্ষা বলছে পরিমাণটা ৬.৫ শতাংশের নীচে। এই সমীক্ষাটির সময়ে ৭০ বছরের উপর যে সব ব্যক্তির রক্তে শর্করার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তারা প্রত্যেকেই এক বার অন্তত স্ট্রোকে আক্রান্ত। আসলে বিশেষজ্ঞদের মতে রক্তে ৫.৭ শতাংশ শর্করা থাকলে তা স্বাভাবিক। আর মাত্রাটি ৬.৫ শতাংশের বেশি হয়ে যাওয়া মানেই তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
সমীক্ষার প্রত্যেক বয়স্কদের ক্ষেত্রেই শর্করার মাত্রা ছিল গড়ে ৭.৫ শতাংশ। গবেষকদের মতে রক্তে শর্করার মাত্রা ৭.০ শতাংশের বেশি হলেই হৃদ্রোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। এক বার স্ট্রোক বা হৃদ্রোগ হয়ে গেলে তাই যে কোনও উপায়ে রক্তে শর্করার মাত্রা ৬.৫ শতাংশর নীচে রাখার চেষ্টা করা উচিত। তা হলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কম থাকে।
ডায়াবেটিস-হৃদরোগ এড়াতে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। তিন মাসের গড় শর্করা ৭ এর নিচে, সম্ভব হলে ৬.৫ এর নিচে রাখার চেষ্টা করুন।
নিয়ন্ত্রণে রাখুন রক্তচাপ । রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন ও প্রয়োজনে চর্বি কমানোর ওষুধ গ্রহণ করুন।
চর্বিযুক্ত খাবার ও উচ্চ ক্যালরি এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত লবণও এড়িয়ে চলুন। ধূমপান করবেন না। সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।
সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটুন বা যেকোনো ব্যায়াম করুন। কায়িক পরিশ্রম বাড়ান। ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। বিশেষ করে পেটের চর্বি কমানোর চেষ্টা করুন।
নিয়মিত রক্তচাপ, শর্করা পরীক্ষা করুন, চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন ও হৃদরোগ আছে কি না, তা নির্ণয়ে সচেতন হোন।
(ঢাকাটাইমস/৩অক্টোবর/আরজেড/এজেড)

মন্তব্য করুন