মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যা, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩

বগুড়ায় কিশোরী মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসম্পাদক জিতু ইসলাম (৪৩), তার সহযোগী শফিকুল হাসান বিপ্লব (২৮) এবং মতিউর রহমান মতি (৩০)।
এর আগে বগুড়া শহরের শিববাটি এলাকার রিকশাচালক শাকিলের কিশোরী মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন জিতু ইসলাম। বয়স বেশি না হওয়ায় শাকিল মেয়েকে জিতুর সাথে বিয়ে দিতে রাজি হননি। এর জেরে শনিবার দুপুরে জিতু ও তার লোকজন শাকিলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয় যান। শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় করতোয়া নদীর ঘাটে শাকিলকে মারপিট করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক শাকিলকে মৃত ঘোষণা করেন।
আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির।
তিনি বলেন, গতকাল রাতে নিহত শাকিলের স্ত্রী মালেকা বেগম একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরপরই আমরা আসামি ধরতে তৎপর অভিযান পরিচালনা করি। সন্ধ্যা নাগাদই প্রধান অভিযুক্তকে আটক করি। পরে শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযান চালিয়ে রাতের মধ্যেই আরো ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদেরকে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
এদিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জিতু ইসলামকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি নেতৃবৃন্দ জিতু ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।(ঢাকা টাইমস/১৫জুন/এসএ)

মন্তব্য করুন