চাপে পড়া দলকে টানছেন রিজওয়ান-হায়দার
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর পরিসংখ্যান হিসেবে, মিরপুরে চলমান টি-টোয়েন্টিতে জয়ের সম্ভাবনা প্রায় ৮০ শতাংশ। অবশ্য এখনও রান তোলার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে পাকিস্তান দল। টাইগারদের ডেরায় তাদেরকেই হোয়াইটওয়াশ করতে এখনও ৩৬ বলে ৪৫ রান করতে হবে পাকিস্তানকে। ক্রিজে রয়েছেন ওপেনার রিজওয়ান ও হায়দার আলী।
এর আগে আমিনুলের বলে বাবর ফিরলে চাপে পড়ে পাকিস্তান। নাসুম-আমিনুলদের বলে ঠিকঠাক রান তুলতে ব্যর্থ হন। তবে উইকেটে ইতোমধ্যেই থিতু হয়ে গেছেন দুজন। জয়ের লক্ষ্যে এখনও ৪৬ রানের জুটিতে অবিছিন্ন রয়েছেন তারা।
বাংলাদেশের ছোড়া ১২৪ রানের ছোট টার্গেট নেমে অবশ্য খুব একটা ভালো করেননি পাকিস্তানি দুই ওপেনার। রানের হিসাবে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৫২। পাকিস্তান ইনিংসের অর্ধেক শেষে করেছে ৪৬ রান। তবে উইকেট তুলতে না পারাই ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। পাওয়ার প্লেতেও বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে ছিল পাকিস্তান। তবে জয়ের লক্ষ্যে দারুণ ভাবে এগোচ্ছেন তারা।
এরআগে, টস জিতে বড় স্কোর গড়ার লেক্ষ্যে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তিন পরিবর্তনের ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডারে অদল বদল হলেও রান তুলতে হাসফাস করতে হয় টাইগার ব্যাটারদের। এদিনও ব্যর্থ ছিলো ওপেনিং জুটি। ১ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা ৩৩ রান তুলতে পেরেছিল প্রথম পাওয়ার প্লেতে।
এদিন শুরুতে পাকিস্তানের হয়ে অভিষিক্ত দাহানির বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন শান্ত। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। পরে ওপরের দিকে ব্যাট করতে আসা শামিম হোসেন করেন ২৩ বলে ২২ রান। মাঝে আফিফ ২১ বলে করেন ২০ রান।
আর ১৮ ওভারে ফেরা নাঈম ৫০ বলে ৪৭ রান। দলীয় সর্বোচ্চ স্কোরারও তিনি। শেষের দিকে দ্রুত উইকেট পড়ায় রানের চাকা ততটা সচল থাকেনি। শেষ পর্যন্ত দল থামে ১২৪ রানে। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন উসমান কাদির এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম। একটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহনেওয়াজ দাহানি ও হারিস রউফ।
(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/এইচএন)