বিবস্ত্র করে পৈশাচিক নির্যাতন, সেই তরুণীকে ফেরত পাঠাল ভারত
মধ্যযুগীয় কায়দায় যৌন নির্যাতনের শিকার সেই তরুণীকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারত। তাকে রাজধানীর তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে আনা হচ্ছে।
গত বছর ভারতের বেঙ্গালুরুতে ওই তরুণীকে ধর্ষণ ও মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে সেই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতে ব্যাপক সমালোচনার শুরু হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি তরুণ হৃদয় বাবু ওরফে টিকটক হৃদয়। এরপর দেশটির পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের গুলি করে। এতে তারা পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের একটি দলের কাছে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাফিজ আল ফারুক।
তিনি বলেন, মেয়েটিকে আমাদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এখন তাকে বহনকারী গাড়িটি ঢাকার পথে রয়েছে। রবিবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শনিবার আলোচিত এই ঘটনার মামলায় টিকটক হৃদয় বাবুসহ ১১ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন সাজা দেয় ভারতের আদালত। তাদের মধ্যে সাতজনকে যাবজ্জীবন এবং বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের মে মাসে বেঙ্গালুরুতে ২২ বছরের এক বাংলাদেশি তরুণীকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতনের পর দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়। কয়েক দিন বাদে নির্যাতনের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটি দেখার পর প্রথম পদক্ষেপ নেয় আসাম পুলিশ। ওই ভিডিও থেকে পাঁচ নিপীড়কের ছবি প্রকাশ করে তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য টুইটারে পুরস্কারের ঘোষণা দেয় তারা।
ওই ঘটনায় ঢাকার হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার ও পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন নির্যাতনের শিকার মেয়েটির বাবা।
(ঢাকাটাইমস/২২মে/এসএস/এলএ)