সড়কে মৃত্যুর মিছিল: দ্রুত সড়ক পরিবহন বিধিমালা প্রণয়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২২, ১৯:৩৩ | প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট ২০২২, ১৯:৩০

প্রতিনিয়ত দেশজুড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ভারি হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। দেশে উন্নয়ন হলেও থামছে না সড়ক দুর্ঘটনা। এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে ২০১৮ সালে সরকার ‘সড়ক পরিবহন আইন’ করলেও চার বছরেও প্রণয়ন হয়নি বিধিমালা। আইনের সঠিক বাস্তবায়নে সড়ক পরিবহন বিধিমালা দ্রুত প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন।

বুধবার ১৭ আগস্ট সকালে রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য সেক্টরের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন বিধিমালার দ্রুত প্রণয়নের দাবিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানান।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসোর্সের পরিচালক ড. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী।

ড. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে যে আইন আছে তার অনেক দুর্বল দিক রয়েছে। ফলে এর সঠিক বাস্তবায়ন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। আবার যাও বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এ সংক্রান্ত বিধিমালা এখনোও পর্যন্ত প্রণয়ন হয়নি। বর্তমান সড়ক দুর্ঘটনার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আইনে দুর্বল দিকগুলো নিরসন করা দরকার। আর এই মুহূর্তে বর্তমান আইনের বিধিমালা দ্রুত প্রণয়ন একান্ত জরুরি।

সভার সভাপতি ইকবাল মাসুদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে আমাদের প্রত্যাশিত লক্ষ্যে এখনো পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি। আইনের দুর্বল দিক, আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়া, উপযুক্ত আইন প্রণয়নে ও বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের বাধা, সরকারের সদিচ্ছা ও সচেতনতার অভাবে সড়কে দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, দেশের যে কোনো উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা অন্যতম ও অনস্বীকার্য। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ প্রণয়নে গণমাধ্যম যেভাবে এগিয়ে এসেছিল ঠিক একইভাবে গণমাধ্যম এগিয়ে আসলে বিধিমালা দ্রুত প্রণয়ন হবে।

মূল বক্তা ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেইফটি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান তার প্রবন্ধে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচটি রিস্ক ফ্যাক্টর, সড়ক দুর্ঘটনার আন্তর্জাতিক ও দেশীয় প্রেক্ষাপট, আইনের দুর্বল দিক ও বিধিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

এসময় তিনি গত কয়েক মাসের সড়ক দুর্ঘটনার তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। শুধুমাত্র গত জুলাই মাসেই দেশে ৬৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৩৯ জন নিহত এবং দুই হাজার ৪২ জন আহত হয় বলে সভায় জানানো হয়।

শারমিন রহমান বলেন, অন্যদিকে এপ্রিল মাসে ৪২৭টি দুর্ঘটনায় ৮১ জন শিশুর মৃত্যু হয়। যা আমাদের ভাবায়। তবে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার হার ও মৃত্যু বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। যার মধ্যে অন্যতম হলো বিধিমালার দ্রুত প্রণয়ন।

এ সময় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেইফটি প্রকল্পের অ্যাডভোকেসি অফিসার (পলিসি) ডা. তাসনিম মেহবুবা বাঁধন ও অ্যাডভোকেসি অফিসার (কমিউনিকেশন) তরিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/কেআর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

বলিপাড়া-রুমা সীমান্ত পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক

দেশে বজ্রপাত নিরোধযন্ত্র স্থাপনে সহায়তা করতে চায় ফ্রান্স

যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন সেনাপ্রধান

অটিজম সম্পর্কে সমাজের সবাইকে সচেতন করতে হবে: স্পিকার

‘নারী কর্মীদের বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করবে মন্ত্রণালয়’ 

সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে: নানক

হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়াতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিত্যপণ্যে সিগারেট বাদে স্বীকৃতি পাচ্ছে যেসব পণ্য

নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্প নিচ্ছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়

আইইবি স্বর্ণপদক পেলেন এনার্জিপ্যাকের চেয়ারম্যান

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :