ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা
কেউ মাটির কাজ, কেউ আবার বন-খর ও দড়ি দিয়ে কাঠামো তৈরি করছে। এভাবেই তিন ধাপে চলছে প্রতিমা তৈরি।
দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শতাধিক প্রতিমা শিল্পী এখন ব্যস্তসময় পার করছেন। রং তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তুলছেন প্রতিমা। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটলেও কারিগররা জানিয়েছেন নির্দিষ্ট সময়ে আগেই তারা প্রতিমা হস্তান্তর করতে পারবেন।
এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় ৬শ পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে নাসিরনগর উপজেলায় মন্ডপের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
কারিগর রবীন্দ্র পাল বলেন, করোনার কারণে গত দুবছর তেমন অর্ডার মিলেনি। তবে এবার প্রতিমা তৈরির কাজ বাড়লেও উপকরণের দাম বেড়ে গেছে। শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত লাভ হবে কি না তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।
প্রতিমা কারিগর দিজেন্দ্র পাল বলেন, খর-বাঁশসহ সবকিছুর দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। যে বাঁশ আগে ২ থেকে আড়াইশ টাকায় বিক্রি হতো তা সাড়ে ৩শ থেকে ৪শ টাকায় এবং প্রতিমণ খর ৩শ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে প্রতিমা তৈরিতে খরচ অনেকটাই বেড়ে গেছে।
প্রবীণ কারিগর সুরঙ্গ পাল বলেন, ৫০ বছর ধরে প্রতিমা তৈরি করছি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রতিমা তৈরির কাজ কিছুটা ব্যাহত হলেও ষষ্ঠী পূজার আগেই প্রতিমা হস্তান্তর করা হবে।
জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতির প্রণব কুমার দাস বলেন, সারাবিশ্বের অর্থনৈতিক সংকটের বিষয়টি মাথায় রেখেই সরকারি নির্দেশনা মেনে মন্ডপগুলোতে এবার পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, মন্ডপগুলোর নিরাপত্তায় প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর থাকবেন।
(ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/এসএম)