ককটেল ফাটিয়ে দিন-দুপুরে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৯
গাজীপুরে ককটেল ফাটিয়ে দিন-দুপুরে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় অস্ত্র, গুলি ও ককটেলসহ আন্তঃজেলার ডাকাত চক্রের নয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি)। মঙ্গলবার গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, নীলফামারী জেলার সদর থানার বাজার এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে মিতা আনোয়ার, মাদারীপুর জেলার সদর থানার চর গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সুবহানের ছেলে রুবেল, ঢাকা কামরাঙ্গীরচর থানার পূর্ব রসুলপুর ৫ নম্বর গলির আবেদ আলী বেপারীর ছেলে বাবুল বেপারী ওরফে বাবু, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার বিলদৈয়ানা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে শুক্কুর ওরফে শুক্কুর ফরাজী, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার কাজীকান্দি গ্রামের নুরুল আকনের ছেলে সোলাইমান আকন, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ী থানার নারিকেল বাড়ি গ্রামের শ্যামল বাড়াইয়ের ছেলে সাগর বাড়াই ও আরেক ভাই মৃদুল বাড়াই।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে কাশিমপুর থানাধীন এনায়েতপুর এলাকায় মোটরসাইকেল ও অটো রিকশাযোগে ছয় থেকে সাতজন ডাকাত ককটেল বিস্ফোরণ ও চাপাতির আঘাতের মাধ্যমে ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং রকেটের ডিএসএম শাহেদ শরীফের কাছ থেকে পাঁচ লাখ ২২ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কাশিমপুর থানায় একটি মামলা করা হয়।
মামলার তদন্তকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কাশিমপুর থানার তেতুইবাড়ি এলাকা থেকে গতকাল সোমবার রাতে আসামি ইউসুফ আলী রানা ও বিধান হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য মতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কাশিমপুর থানাধীন লস্কর চলা এলাকা থেকে ভোররাতে আরো সাত ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ সময় ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের উপরে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালাতে থাকলে তাদের ছোড়া গুলির আঘাতে নিজ ডাকাত দলের সদস্য সোলাইমান আকন নামের এক ডাকাত সদস্য গুলিবিদ্ধ হন এবং এক পুলিশ সদস্য আহত হন।
তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, একটি তাজা গুলি, ১২ অবিস্ফোরিত ককটেল, তিনটি চাপাতি, দুটি মোটরসাইকেল, দুটি হেলমেট, একটি অটোরিকশা, দুই রাউন্ড পিস্তলের গুলির খালি খোসা, সাত রাউন্ড কার্তুজের খোসা, বিস্ফরিত ককটেলের অংশবিশেষ ও ছেড়াফাঁটা স্কচটেপ, একটি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকসহ ডাকাতি কাজে বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/এমআই/কেএম)