হাত-পা বেঁধে পিকআপ চালককে বুড়িগঙ্গায় ফেলে হত্যা: মূলহোতা গ্রেপ্তার
ঢাকার কেরাণীগঞ্জ এলাকায় হাত-পা বেঁধে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে পিকআপচালক সাকিবকে হত্যার ঘটনায় মো. সোলায়মান ওরফে সিয়াম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২। গ্রেপ্তারকৃত সিয়াম এই ঘটনার মূল হোতা বলে জানিয়েছে বাহিনীটি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার সকালে র্যাব-২ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফজলুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ৬ নভেম্বর বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ পার থেকে হাত-পা বাঁধা ও মুখমণ্ডল স্কচটেপ পেঁচানো অবস্থায় সাকিবের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৭ নভেম্বর কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন নিহত সাকিবের চাচা জামাল। কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার মামলা নম্বর-২৭/৬২২।
র্যাব জানায়, গত ২ ডিসেম্বর এই ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে র্যাব। পরে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মো. মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মিজান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৩ ডিসেম্বর এই হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি মো. নাইমুল হোসেন ওরফে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিয়ামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সাকিব হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মো. সোলায়মান ওরফে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়। ক্লুলেস এই মামলায় র্যাব-২ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে হত্যায় জড়িত তিন জনের মধ্যে মূলহোতাসহ তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত সোলায়মান ওরফে সিয়াম আগে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের সহযোগিতায় এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে বলে স্বীকার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, এই চক্রটি বিভিন্ন সময়ে বছিলা, মোহাম্মদপুর ও রায়ের বাজার এলাকায় সংঘবদ্ধভাবে চুরি ও ছিনতাই কাজ করত। তারা লোভে পড়ে অল্প সময়ে বেশি টাকা আয়ের জন্য ট্রাক অথবা পিকআপ ভাড়া করে সেই ট্রাক বা পিকআপ ছিনতাই করে বিক্রির পরিকল্পনা করে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সাকিবের গাড়িটি তারা ভাড়া করে। গন্তব্য যাওয়ার এক পর্যায়ে তারা কৌশলে সাকিবের হাত-পা বেঁধে ফেলেন। আর কালো স্কচটেপ দিয়ে তার মুখ ও মাথা পেচিয়ে ফেলেন। এরপর রাত ১২টার দিকে তারা নদীর দিকে নিয়ে গিয়ে সাকিবের লাশ নদীতে ফেলে দেয়। এই হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত আছে কি না সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ অব্যাহত আছে।
গ্রেপ্তারকৃত সোলায়মান ওরফে সিয়াম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার মো. ইয়াকুব আলীর ছেলে।
ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/এএ/ইএস