ত্রিশালের মৃত্যুদণ্ড পাওয়া যুদ্ধাপরাধী পলাতক সুলতান মাহমুদ গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪০ | প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:৪৪

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালের মৃত্যুণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সুলতান মাহমুদ ফকিরকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ র‍্যাব-১৪ সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, ‘ত্রিশালের কুখ্যাত রাজাকার কমান্ডার, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে গণহত্যা, হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মৃত্যুণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী সুলতান মাহমুদ ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

গত ২৩ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সুলতান মাহমুদসহ ত্রিশালের পলাতক ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলায় মোট নয়জন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন দুজন। কারাগারে থাকা দুজন ও পলাতক একজনসহ মোট তিনজনের মৃত্যু হয়। বাকি ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড হয়।

সুলতান মাহমুদ ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন: মো. মোখলেসুর রহমান মুকুল, সাইদুর রহমান রতন, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির ও নাকিব হোসেন আদিল সরকার।

সোমবার আকুয়া বাইপাস র‌্যাব-১৪ কার্যালয়ে অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মহিবুল ইসলাম খান সুলতান মাহমুদ ফকিরকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী রাজাকার সুলতান মাহমুদ ফকির ইউনুছ আলীকে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। ১৯১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে ৯ জনকে আসামি করে ময়মনসিংহ বিচারিক আদালতে মামলা করেন।’

‘মামলাটি ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ নথিভুক্ত হয়। আসামি ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।’

র‌্যাব-১৪ অধিনায়ক বলেন, ‘সুলতান মাহমুদ ফকির দণ্ডিত হওয়ার পর নিয়মিত অবস্থান পরিবর্তন করতেন। কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না। তার পরিচয় প্রকাশ পায় এমন কোনো অনুষ্ঠানে নিজেকে প্রকাশ করতেন না।’

সুলতান মাহমুদ ফকিরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান র‌্যাব-১৪ অধিনায়ক।

প্রসঙ্গত, ২৩ জানুয়ারি রায় ঘোষণার সময় আসামিরা সবাই পলাতক ছিলেন। এরমধ্যে ৩০ জানুয়ারি মোখলেছুর রহমান মুকুল ও নকিব হোসেন আদিল সরকারকে ঢাকার দক্ষিণখান ও সাভারের আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-২। এখন সুলতান মাহমুদ ফকিরকেও গ্রেপ্তার করায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৬ফেব্রুয়ারি/এআর/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :