স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ২২ বছরের যুবকের বাড়িতে ৪৩ বছর বয়সি নারীর অনশন
স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে কুড়িগ্রাম থেকে ৪৩ বছর বয়সি এক নারী শরীয়তপুরে এসে অনশন শুরু করেছেন ২২ বছর বয়সি এক যুবকের বাড়িতে।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শরীয়তপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হুগলি গ্রামে নাদিম সরদারের (জহির) বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ওই নারীকে সেখানে বসে থাকতে দেখা যায়।
নাদিম সরদার হুগলি গ্রামের বিল্লাল সরদারের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
জানা যায়, ওই নারী কুড়িগ্রামের কবিরাজপাড়া এলাকার বাসিন্দা। নাদিমের সঙ্গে তার পরিচয় ফেসবুকে। গত এক বছর ধরে ফেসবুকসহ ইমু ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ঢাকার আজিমপুর এলাকায় এক কাজীর মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয় বলে দাবি করছেন ওই নারী।
তিনি জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে এ বছরের ১৮ জানুয়ারি তারা দুজনে বিয়ে করে একাধিকবার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে থেকেছেন।
নারীর অভিযোগ, বিয়ের পর স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইলে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন নাদিম। ঈদুল ফিতরের পরে নাদিমের বাড়িতে এলে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। মোবাইলে কল দিলেও রিসিভ করেন না। নাদিম সম্পর্ক অস্বীকার করছেন।
এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার থেকে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে নাদিমের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেছেন ওই নারী।
এ ব্যাপারে নাদিম সরদার মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই নারী সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। কিন্তু পরে জানতে পারি তার বয়স অনেক। তিনি আমার কাছে বয়স লুকিয়েছেন। তাই পারিবারিকভাবে তার সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়ে যায়। তিনি কী জন্য আমার বাড়িতে এসেছেন জানি না। তিনি আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা আজিজ বেপারী জানান, ‘ওই নারী দুপুরের পর থেকে নাদিমদের বাড়ির উঠানে বসে আছেন। গ্রামের লোকজন তাকে দেখতে ভিড় করছেন। তার সঙ্গে কীভাবে নাদিমের প্রেম হলো! তাদের নাকি বিয়েও হয়েছে। আবার ডির্ভোসও হয়েছে শুনছি। এতে গ্রামের সম্মান হানি হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক। যদি অভিযোগ পাই, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
(ঢাকাটাইমস/১৭মে/এজে)