চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিজয়ী কে এই নোমান আল মাহমুদ?

চট্টগ্রাম-৮ আসনে (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ) উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
২৭ জন হেভিওয়েট আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পেছনে ফেলে নৌকার টিকিট হাসিল করে যেমন সবাইকে অবাক করেছিলেন, তেমনি বিপুল ভোটে বিজয়ী নোমান আল মাহমুদ দিয়েছেন চমক। কে এই নোমান আল মাহমুদ, আর কোন ম্যাজিকে হয়ে গেলেন এমপি— এসব নিয়ে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন আলোচনা তুঙ্গে।
নোমান ৬৭ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। তিনি মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৭ ভোট।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ১৯০টি কেন্দ্রের এক হাজার ৪১৪টি কক্ষে ইভিএম পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। তবে এই উপ-নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি ও জাতীয় পার্টি।
চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে আব্দুচ ছালামসহ ২৭ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড তাদের মধ্য থেকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে চট্টগ্রাম নগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদকে।
নোমান আল মাহমুদ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সভাপতি। এর আগে নোমান আল মাহমুদ ১৯৭১-৭৩ সালে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৪-৭৭ সালে মহানগর ছাত্রলীগের কমিটিতে শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯ সালে যুবলীগের মহানগর কমিটির সদস্য হন। ১৯৮৭ সালে মহানগর যুবলীগ সভাপতি ও ১৯৯৪ সালে শেখ সেলিম-কাজী ইকবাল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ১৯৯৭ সালে জাহাঙ্গীর কবির নানক-মির্জা আজম কমিটির সদস্য হন।
এই উপনির্বাচনে নোমান নোমান আল মাহমুদ ছাড়াও চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মোমবাতি প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির কামাল পাশা এবং একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
চট্টগ্রামে-৮ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন। নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৯০টি।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। এই আসনটি ২০১৯ সালেও একবার শূন্য হয়। মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচিত হন। কিন্তু তিনি ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। পরে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে এসেছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ।
(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/জেএ/কেএম)

মন্তব্য করুন