টানা দুই ওভারে সাজঘরে টেক্টর-ক্যাম্ফের
রান তাড়া করতে নেমে ইতিবাচক ব্যাটিং করে যাচ্ছেন আইরিশ ব্যাটাররা। স্টার্লিং-বালবির্নির পর জুটি গড়েন টেক্টর-টাকার। এবার সেই জুটি ভাঙলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পরের ওভারেই কুর্তিস ক্যাম্ফেরকে ফেরালেন মোস্তাফিজুর রহমান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪২.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ২২৬ রান তুলেছে আইরিশরা।
এখন ৪০ রানে টাকার ও শূন্য রানে ক্যাম্ফের ব্যাট করছেন।
রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪ রান করেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার স্টেফেন ডোহেনি। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুর্দান্ত খেলে যান ওপেনার পল স্টার্লিং ও দলনেতা অ্যান্ডি বালবির্নি। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ১০৯ রানের জুটি। দুজনই ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন। ৭৮ বলে ৫৩ রানে বালবির্নি ও ৭৩ বলে ৬০ রানে স্টার্লিং আউট হন।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান আইরিশ দলনেতা অ্যান্ডি বালবির্নি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪ রানে সাজঘরে ফেরেন অভিষিক্ত রনি তালুকদার। দ্বিতীয় উইকেটে নেমে ইতিবাচক ব্যাট করতে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হন ৩২ বলে ৩৫ রানে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে আইরিশ বোলারদের শাসন করে যান ওপেনার ও দলনেতা তামিম ইকবাল। এ সময় দুজন মিলে তোলেন ৭০ রান। ৩৫ রানে আউট হন লিটন। আর আগের ম্যাচের হাফ-সেঞ্চুরিয়ান তাওহিদ হৃদয় আউট হন মাত্র ১৩ রানে।
তামিম খেলে যাচ্ছেন আপনতালেই। দীর্ঘ ৯ ম্যাচ পর ওয়ানডেতে ফিফটির দেখা পেয়েছেন তিনি। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি টাইগার দলনেতা ও ওপেনার তামিম। আউট হন ৬৯ রানে।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে দুর্দান্ত খেলে যান মুশফিকুর রহিম। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ১০৪ রানের জুটি। তাতেই লড়াকু পুঁজি পেয়ে যায় টাইগাররা। তবে সুযোগ ছিল দলীয় ইনিংসকে তিনশোর বেশি নেওয়া সুযোগ ছিল। কিন্তু ৪৫ রানে মুশফিক ও ৩৭ রানে মিরাজ ফিরলে সেটা সম্ভব হয়নি। পরে মৃত্যুঞ্জয় ৮, হাসান ১ ও মোস্তাফিজ শূন্যরানে আউট হন। ১ রানে অপরাজিত থাকেন ইবাদত।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন মার্ক আডায়ের। দুটি করে উইকেট নেন জর্জ ডর্করেল ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন। আর একটি উইকেটের দেখা পেয়েছেন ক্রেইগ ইয়াং।
(ঢাকাটাইমস/১৪মে/এমএম)