‘ভুল চিকিৎসায়’ তরুণের মৃত্যু: ল্যাবএইডের এমডি-চিকিৎসকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ জুন ২০২৩, ২০:৫৩ | প্রকাশিত : ২৬ জুন ২০২৩, ২০:১২

রাজধানীর ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় তাহসিন হোসেইন (১৭) নামে এক তরুণের মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ এম শামীমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে বাদী হয়ে সোমবার এ মামলা করেন ওই কিশোরের বাবা বাবা মনির হোসেন। পরে ধানমণ্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন আদালত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের সার্জন ডা. মো. সাইফুল্লাহ, সহকারী সার্জন ডা. মাকসুদ, ডা. সাব্বির আহমেদ, ডা. মোশাররফ, ডা. কনক ও হাসপাতালের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. শাহজাহান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী তানভীর আহমেদ সজীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আরজিতে বাদী বলেন, তার ছেলে তাহসিন কিছুদিন থেকে অসুস্থ বোধ করায় গত ২৭ মার্চ তাকে ল্যাবএইডের ডা. সাইফুল্লাহকে দেখানো হয়। ড. সাইফুল্লাহ তাৎক্ষণিক তার ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, তার অবস্ট্রাক্টিভ স্মল গাট বা নাড়িতে প্যাঁচ রয়েছে। যার কারণে তার পেটে ব্যথা এবং সে মল ত্যাগ করতে পারছে না। দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হবে। পরে গত ২৮ মার্চ অস্ত্রোপচার করা হয়।

এরপর তাহসিনের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মাকসুদ বাদীকে জানান অস্ত্রোপচার সফল হয়নি। রোগীকে সুস্থ করতে হলে আবার অপারেশন করতে হবে। এরপর ৬ এপ্রিল দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার করেন ডা. সাইফুল্লাহ। দ্বিতীয়বার অপারেশনের পরেও রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। দীর্ঘ তিন মাস চিকিৎসা চলার পর গত ২৩ জুন রোগীর মৃত্যু হয়। তিন মাসে তাকে ১৪৪ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। চিকিৎসার ব্যয় হিসেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রায় ২৭ লাখ টাকা বিল করে। এর মধ্যে দশ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে হাসপাতাল থেকে তার সন্তানের লাশ গ্রহণ করে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।

এ ব্যাপারে তাহসিনের বাবা মনির হোসেন বলেন, আমি ডা. সাইফুল্লাহকে অনেকবার জিজ্ঞেস করছি আমার ছেলের সমস্যা কী? কিন্তু উনি কোনোবারই সঠিক করে কিছুই বলতে পারেননি। অথচ তার দুইবার অপারেশন করা হয়েছে। তিনি যে আমার ছেলের ভুল চিকিৎসা করেছেন, তা শতভাগ নিশ্চিত। এ সময়ে আমার ছেলেকে ১৪৪ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। আমি প্রথম অপারেশনের পর এখান থেকে রিলিজ নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ রোগীকে ছাড়পত্রও দেয়নি। তারা আমার ছেলেকে তিলে তিলে হত্যা করেছে।

ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বিচার চান তিনি।

ঢাকাটাইমস/২৬জুন/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাউথ এশিয়ান ল' ইয়ার্স ফোরাম ঢাকা বার চ্যাপ্টারের কমিটি অনুমোদন

হাইকোর্টের রায়: প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল

১০ জুন আপিল বিভাগের এজলাসের ছবি তোলার সুযোগ পাবেন সাংবাদিকরা, করা যাবে লাইভ

দক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় জাইকার টেকনিক্যাল কো-অপারেশন প্রজেক্ট চালু

পি কে হালদারের সহযোগী বাসুদেব ও তার স্ত্রীর আত্মসমর্পণ

এমপি আনার হত্যা: ১০ আসামির ব্যাংক হিসাব অনুসন্ধানের অনুমতি আদালতের

পুলিশের ওপর হামলা: চার ‘নকল’ হিজড়া তিন দিনের রিমান্ডে

আনার হত্যাকাণ্ড: সিয়ামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামীমার কারাদণ্ড

ব্রিটিশ শাসনামলে সলঙ্গা গণহত্যার স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে হাইকোর্টের নির্দেশ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :