ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যকে ‘দুঃখজনক’ ও ‘লজ্জাজনক’ বললেন হিরো আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ জুলাই ২০২৩, ১৫:৪৮

পুলিশকে না জানিয়ে এক কেন্দ্রে দুইবার যাওয়ায় হিরো আলমকে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হয়নি— ডিএমপি কমিশনারের এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন ঢাকা-১৭ আসনে উপ-নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। তিনি বলেছেন, ‘ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুক যা বলেছেন তা খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। তার লজ্জা থাকলে এ কথা বলতেন না।’

রবিবার দুপুরে ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচন বাতিল ও পুনর্নির্বাচনের দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে এসে তিনি একথা বলেন।

হিরো আলম বলেন, ‘স্পিকারের কাছে অনুরোধ করব, যতক্ষণ বিচার না হয় ততসময় আরাফাত ভাইকে শপথগ্রহণ করাবেন না। কারণ, ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়া হয়েছে। ১২ ও ১৩ বছরের ছেলে-মেয়েরা ভোট দিয়েছে। অনেকে ২০ থেকে ৩০টা ভোট দিয়েছে। এটা আমার মুখের কথা না, আমার কাছে প্রমাণ আছে। আমার কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে তা ইসিতে জমা দিয়েছি।’

এর আগে শনিবার রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা-১৭ আসনে উপ-নির্বাচনের দিন পুলিশকে না জানিয়ে একই কেন্দ্রে দুইবার যাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি পুলিশ। আর সেই সুযোগে দুষ্কৃতকারীরা তার ওপর হামলা করে থাকতে পারে।

কমিশনারের এমন মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানান হিরো আলম। বলেন- উনি (ডিএমপি কমিশনার) বলেছেন আমি নাকি একই কেন্দ্রে দুইবার গেছি। আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনি ভিডিও ফুটেজগুলো দেখবেন? ওই কেন্দ্রে দুইবার গেছি কি না?

হিরো আলম বলেন, ভোটকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা দেবেন না এটা ভুল ধারণা। পুলিশ সারাদেশে নিরাপত্তা দেবে এটাই পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের দায়িত্ব পুরো এলাকার নিরাপত্তা দেওয়া, তাহলে কেন্দ্রে কেন দেবে না? অথচ দেখলাম আমাকে যারা মারধর করছে পুলিশ তাদের বের করে দিচ্ছে। তাদের উচিত ছিল আমাকে উদ্ধার করে সসম্মানে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া। যখন আমাকে ওরা বেদম মারছিল তখন পুলিশের কাজ ছিল আমাকে রক্ষা করা। পুলিশ আমাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশ আমাকে কোনোদিনই নিরাপত্তা দিতে পারেনি।

গত সোমবার ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বনানী বিদ্যা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমকে মারধর করা হয়। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হিরো আলমকে মারধরের ঘটনায় বনানী থানায় একটি মামলা হয়। সেই মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

হিরো আলম ভাইরাল হয়েছে ২০১৬ সাল থেকে। ভাইরাল নয়, জনগণের জন্য কথা বলতেই ভোটে দাঁড়াই। এটা কী আমার অন্যায়? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, জনগণের জন্য কথা বলতেই ভোটে দাঁড়াই। একটা জায়গায় অন্যায় হচ্ছে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করছি, এটা কি আমার অন্যায়। অনেকে বলে হিরো আলম ভাইরাল হতে এগুলো করছে, এটা সত্য নয়। আমি আপনাদের জন্য কথা বলতে চাই, জীবনের পরোয়া করি না। যখন যে সমস্যা হচ্ছে তখন প্রতিবাদ করছি। হিরো আলম ভাইরাল হয়েছে ২০১৬ সাল থেকে এটা নতুন নয়। আমি অভিনয়ের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছি।’

(ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/এসএস/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :