নোয়াখালীতে প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন, ওসির প্রত্যাহার দাবি
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় জমে উঠেছে ভোটের মাঠ। তবে নিজের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা মারধর, প্রচারণায় বাধা ও নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে ওসি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জেড এম আজাদ খান।
শুক্রবার বিকালে চাটখিল পৌর এলাকার ভীমপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তিনি।
জেড এম আজাদ খান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জেড এম আজাদ খান অভিযোগ করে বলেন, গত ২ মে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরপর থেকে আমি আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সকল বিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছি। কিন্তু নির্বাচনের দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবিরের লোকজন আমার জনপ্রিয়তা দেখে বিভিন্ন স্থানে আমার প্রচারণায় বাধা প্রদান করছে। এ পর্যন্ত একাধিক স্থানে আমার নির্বাচনি পোস্টার ছিড়ে ফেলছে। প্রচার মাইকে বাধা দিচ্ছে এবং নেতাকর্মীদের হাত থেকে প্রচারণার লিফলেট ছিনিয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও আমার নির্বাচনের মূল সমন্বয়ক, কেন্দ্রের আহ্বায়কসহ নেতাকর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা আমার ভোট না করে। এসব বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনও কোনো সমাধান হয়নি।
তিনি বলেন, নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের জন্য চাটখিল মহিলা কলেজ ও খিলপাড়া ডিগ্রি কলেজের কোনো প্রভাষককে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব না দিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত দিয়েছি। কারণ ওই দুইটি কলেজের সভাপতি দোয়াত কলমের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদ বলেন, আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলাসহ চলমান ঘটনা নিয়ে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে একাধিক লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর তাকে কল দিয়েও পাওয়া যায় না। আমার নাম্বার দেখলে তিনি কল রিসিভ করেন না, কিন্তু একই সময় অন্য নাম্বার থেকে কল দিলে রিসিভ করেন। আমি মনে করি তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ওসিকে প্রত্যাহার করে একটি সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, চাটখিল থানার ওসির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা আমরা পেয়েছি। নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আগে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ মে জেলার চাটখিল উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে খায়েরুল বাসার, আনারস প্রতীক নিয়ে জেড এম আজাদ খান ও দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে জাহাঙ্গীর কবির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপজেলাটিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৭মে/প্রতিনিধি/পিএস)