আত্মহত্যা মারাত্মক অপরাধ, প্রতিরোধের উপায়

মৃত্যু একটি অবধারিত সত্য। পৃথিবীর বুকে জন্ম নেওয়া প্রতিটি প্রাণীকেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হবে। তাই বলে আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে প্রাণ বিসর্জন কোনো মতেই কাম্য নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন মোতাবেক প্রতি বছর বিশ্বে ৮ লাখেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে। এছাড়া এর প্রায় ১৫ থেকে ২০ গুণ মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আত্মহত্যা প্রবণতার ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। বাংলাদেশে প্রতি বছর কমপক্ষে ১৩ হাজার থেকে ৬৪ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে।
আত্মহত্যা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের জীবন বিসর্জন দেয়া বা স্বেচ্ছায় নিজের প্রাণনাশের প্রক্রিয়াবিশেষ। ল্যাটিন ভাষায় সুই সেইডেয়ার থেকে আত্মহত্যা শব্দটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে নিজেকে হত্যা করা। আক্ষরিক অর্থে মৃত্যুতে জীবনের মুক্তি নয়। জীবনে মুক্তিলাভ নানা ভাবে সম্ভব। 'আমার দ্বারা কিছু হবে না' বা 'এ জীবনে আমার আর পাওয়ার কিছু নেই', 'এভাবে বেঁচে থেকে লাভ কি'... এসব থেকেই আসে আত্মহত্যার প্রবণতা। চিকিৎসা পরিভাষায় যা মানসিক অবসাদের কারণ হিসেবেই চিহ্নিত হয়। প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় দশ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করেন। হু ( বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) এর মতে প্রতি বছর যত মানুষের মৃত্যু হয় তার মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ আত্মহত্যা।
আত্মহত্যা মারাত্মক অপরাধ। এটা হলো জঘন্যতম পাপ। আত্মহত্যাকে ইসলাম ঘৃন্য অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করেছে।পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা আত্মহত্যাকারীর জন্য পরকালে কঠোর আজাবের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, “তোমরা নিজেদের হত্যা করো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু। আর যে ব্যক্তি সীমা লঙ্ঘন করে আত্মহত্যা করবে তাকে অগ্নিতে দগ্ধ করব। এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।” (সুরা : নিসা, আয়াত : ২৯,৩০)
সমাজে আত্মহত্যার প্রবণতা রোধে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা হচ্ছে, তাকওয়া, আল্লাহর প্রতি আস্থা-ভালোবাসা এবং সবর। একজন মুমিনের হৃদয়ে যখন আল্লাহর ভয় এবং ভালোবাসা জাগ্রত হবে, তার প্রতিটি সফলতা এবং ব্যর্থতায় যখন সে সবরের লেবাস পরিধান করবে, তার মানসপটে যখন জান্নাতের অফুরন্ত নেয়ামত এবং সম্মান, জাহান্নামের ভয়ঙ্কর এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির কথা স্মরণ হবে, সে কখনোই জীবন থেকে নিরাশ হবে না। হতাশার অন্ধকারে হাবুডুবু খাবে না। কোনো অবস্থাতেই সে আত্মহত্যার মতো জঘণ্য পাপাচারে নিমজ্জিত হবে না।
বিষন্নতা, হতাশা ও একাকিত্ব জীবনবোধে আত্মহননের চিন্তা নিয়ে আসে। এদের প্রভাবে জীবন হয়ে উঠতে পারে লক্ষ্যহীন ও অর্থহীন। চিরচেনা চলার পথ হয়ে পড়ে অপাঙ্ক্তেয়। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির দোলাচলে জীবন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। নিজেকে অপ্রয়োজনীয় ভাবার বোধ কাজ করে। আশাহত, একাগ্রতা, ব্যক্তিগত, সামাজিক, পারিবারিক, অর্থনৈতিক জীবনের বিভিন্ন অংশকে মূল্যহীন করে তোলে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অকল্যাণকর এমন ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘুরে দাঁড়ানোর পৃথিবীতে নিজেকে নিয়ে ভাবার তখন অবশিষ্ট থাকে না। সামাজিক রীতিনীতি, চাপ মানুষের হতাশাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। এ থেকে মুক্তি পেতে মানুষ তখন আত্মহননের পথ বেছে নেয়।
বাংলাদেশে আত্মহত্যার কারণগুলো হচ্ছে, শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন, শারীরিক এবং মানসিক অসুস্থতা, পারিবারিক নির্যাতন, কলহ এবং সম্পর্কের বিচ্ছেদ, মাদকের অপব্যবহার, অর্থনৈতিক সমস্যা, পড়াশোনার চাপ, পরীক্ষা-প্রেমে ব্যর্থতা, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, প্রাত্যহিক জীবনের অস্থিরতা, নৈতিক অবক্ষয় ও মাদক, পারিবারিক আত্মহত্যার ইতিহাস ইত্যাদি।
আত্মহত্যার ঝুঁকির লক্ষণগুলো হচ্ছে- মৌখিক হুমকি, ঘন ঘন মৃত্যু সংক্রান্ত ইচ্ছার কথা বলা, যখন দেখছেন আপনার সন্তান বা কাছের মানুষটি হঠাৎ করেই চুপচাপ হয়ে যাচ্ছে, তার চেহারা, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে উদাসীন বা ওজন খুব দ্রুত বাড়ছে বা কমছে, ফেসবুক বা স্যোশাল মিডিয়াতে মৃত্যু নিয়ে বেশী পোস্ট বা ঘটনা দিচ্ছে, শরীরে অপ্রত্যাশিত আঘাতের চিহ্ন ইত্যাদি।
বিষন্নতা আত্মহত্যার জন্য অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ মানসিক রোগ। গবেষকরা বলছেন, গুরুতর বিষণ্ণতা বা মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার—এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১৫ শতাংশই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বিষণ্ণতা রোগে আক্রান্তরা দিনের পর দিন অধিকাংশ সময়ই মন খারাপ করে থাকেন, কোন কাজে উৎসাহ—মনোযোগ পান না, ঘুম-খাওয়ার রুচি-উদ্যম-গতি কমে যায়। পরবর্তীতে তা তীব্র আকার ধারণ করলে আক্রান্তরা নিজেদের জীবনকে নিরর্থক ও বোঝা মনে করতে থাকেন, সমাজ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখেন, প্রতিনিয়ত আত্মঘাতী চিন্তায় মন আচ্ছন্ন হতে থাকে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না করালে এদের অনেকেই নির্মম সিদ্ধান্তের পরিণতি ঘটান।
বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যেই আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যায়। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা আমাদের দেশে বেশি দেখা যায়। এর মধ্যে আবার গ্রামের মেয়েরা শহরের মেয়েদের তুলনায় এই দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ছে।
বিবাহিত মেয়েদের আত্মহত্যার ক্ষেত্রে অনেক সময় খবর রটেছে যে, তাতে পরিবার কিংবা স্বামীর ইন্ধন বা প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আত্মহত্যার ধরনেও এসেছে পরিবর্তন। আগে মেয়েদের ক্ষেত্রে অধিকাংশই ইভ টিজিং, যৌতুকের চাপ, অভাব, হতাশা, পারিবারিক কিংবা সামাজিক নির্যাতনের মতো ঘটনায় আত্মহত্যার পথে এগোত। হয়তো তারা ভাবত এটাই মুক্তির একমাত্র পথ। আর ছেলেদের বেলায় প্রেমে ব্যর্থতা, অভিমান, নেশাগ্রস্ততা কিংবা জীবনের দায়ভার নেওয়ার সাহস না থাকাটাই হয়ে দাঁড়াত আত্মহত্যার কারণ।
সামাজিক এবং অবস্থানগত কারণের উপর নির্ভর করে আত্মহত্যার প্রবণতা। একাকিত্ব, আর্থিক সমস্যা এবং সমাজের নানাবিধ চাপে অবসাদে ভোগেন এরকম মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। পড়াশোনা করা সত্ত্বেও যোগ্য ব্যক্তি তাঁর উপযুক্ত চাকরি পাচ্ছেন না, ব্যক্তিগত জীবনে অশান্তির জের, কর্মক্ষেত্রে হেনস্থা ইত্যাদি নানা কারণ থেকে মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ইদানিং বয়স্কদের মধ্যেও একাকিত্ব থেকে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এমনও বহু মানুষ আছেন যাঁদের পরিবারে আত্মহত্যার প্রবণতা একধরনের অসুখ। সেখান থেকেও কারণে অকারণে লোকজন আত্মহননের দিকে এগোয়।
সন্তানের কাছে শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা রাখতে হবে মা-বাবার। পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে হবে। সন্তান যেন নিজের যেকোনো অনুভূতি, সমস্যা বা বিপদের কথা খোলা মনে মা-বাবার সঙ্গে শেয়ার করতে পারে—এমন পারিবারিক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। সন্তান মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত মনে হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।আত্মহত্যাপ্রবণ মানুষ কীটনাশক, ওষুধ, ধারালো অস্ত্রসহ যেসব বস্তু বা জিনিস ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের প্রাণ হরণ করতে, সেগুলো যাতে হাতের নাগালে না থাকে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মানসিকতা বোঝা এবং তাদের সঙ্গে মানসিক বিকাশে সহায়ক আচরণ করায় শিক্ষকদের পারদর্শী করে তুলতে হবে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বা দক্ষ পেশাজীবী থাকতে হবে। অফিস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ পেশাগত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজস্ব কর্মীদের মানসিক সুস্বাস্থ্যের উপযোগী কর্ম পরিবেশ তৈরি করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে অযাচিত মানসিক চাপ এবং যৌন হয়রানির মতো ঘটনা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জীবনটা আসলে অনেক বড়। অনেক কিছু করার থাকে। অনেক কিছু জানার থাকে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের বাইরেও একটা জগত থাকে। কথা বলুন। অনেক বেশি করে মিশতে হবে সবার সঙ্গে। ভার্চুয়াল বন্ধুদের সঙ্গে আপনি চ্যাট করতে পারবেন। হয়তো মেন্টাল সার্পোটও পাবেন। তবে আপনার পাশেরজন যেভাবে আপনার সঙ্গে থাকবে সেইভাবে নয়।
পছন্দের কাজ করুন। তার মধ্যেই আনন্দ খুঁজে নিন। একপ্রকার জোর করেই তা করতে হবে। নিজেকে বলতে হবে আমি ভালো থাকবো। আপনার চারপাশে এরকম অনেক মানুষ পাবেন যাঁরা সত্যিই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। অনেক বেশি খারাপ রয়েছেন। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিন।
পছন্দের মানুষজনের সঙ্গে মিশুন। যোগাযোগ রাখুন। পারিবারিক অনুষ্ঠানে থাকার চেষ্টা করুন। নিজের মতো করে মানিয়ে নেওয়া অভ্যেস করুন।
সাফল্য-ব্যর্থতা, ভালো থাকা-মন্দ থাকা এগুলো জীবনের অঙ্গ। ঘুরে ফিরে সবই আসে। সময়ের উপর ধৈর্য রাখুন। আজ না হলে কাল সাফল্য আসবেই। ভালো কিছু হতে কখনও হয়তো সময় লাগে। কারোর ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি, কারো দেরীতে আসে। কিন্তু আসে।
মনের কথা খুলে বলুন। সে বাবা-মা, বন্ধু স্থানীয়, আত্মীয় যে কেউ হতে পারে। একান্ত না পারলে মনোবিদের কাছে যান। তাঁকে আপনার সমস্যার কথা খুলে বললে তিনি আপনাকে সমাধানের পথ দেখাতে পারবেন।
আমি ভালো থাকতে চাই। আমার ভালো থাকা কেউ আটকাতে পারবে না। এই কথাটি মন্ত্রের মতো জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে নিন।
কাউন্সেলিং চিকিৎসার একটা অংশ। আপনাকে কাউন্সেলারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ কেউ দিলে তাকে ভুল বুঝবেন না। আমি তো মানসিক রোগী নই.. কেন যাবো.. এ ধরনের প্রশ্ন ভাবনায় আনবেন না।
হয়তো শুনতে খুব বোকা বোকা লাগবে , কিন্তু যদি কখনও মনে হয় একবার সুইসাইড করে দেখি কেমন লাগে তার আগে হোমওয়ার্ক হিসেবে ইউটিউবে 'হেমলক সোসাইটি' দেখে নিতে পারেন।
সফলতার মতো ব্যর্থতাকেও মেনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। পারিবারিক বন্ধনগুলো আরও সুদৃঢ় করতে হবে এবং পরিবারে প্রত্যেকের সঙ্গে গুণগত সময় কাটাতে হবে। সহানুভূতি আর ভালোবাসাই পারে একজনকে ভালো রাখতে।
মনকে বিষন্ন করে বা মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে এমন কথা বা কাজ এড়িয়ে চলতে হবে।
বিষণ্ণতার সময়ে বড় কোন সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করুন। সুষম, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করুন। পর্যাপ্ত সময় ঘুমাতে হবে, তবে বেশী ঘুম নয়।
সুস্থ-স্বাভাবিক সম্পর্কগুলোর চর্চা করতে হবে। মাদকাসক্তি থেকে দূরে থাকুন। রুটিনমাফিক শৃংখলাপূর্ণ জীবনযাপন করুন।
বিষণ্ণতা ব্যক্তির কর্মক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত বা নষ্ট করে দেয় বলে তা সামগ্রিকভাবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতার উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে।
নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ব্যক্তির নিজের সচেষ্ট থাকুন। সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, প্রয়োজনমতো বিশ্রাম, রুটিনমাফিক শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপন—মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। আত্মহত্যা প্রতিরোধ ও মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে খেলাধুলা, সুস্থ বিনোদন চর্চাসহ ব্যক্তির স্বাভাবিক মানসিক বিকাশের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তুলুন। মাদক নির্মূলে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা রাখুন। মাদকাসক্তি, বিষন্নতা, সিজোফ্রেনিয়াসহ সব মানসিক সমস্যা বা রোগ হলে দ্রুত শনাক্ত করা ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য, ইতিবাচক সম্পর্ক লালন এবং ধর্মীয় ও সামাজিক সুস্থ রীতিনীতির চর্চা করুন। নেতিবাচকতা পরিহার করে চিন্তা-ভাবনায় ও কাজে যৌক্তিকতা ও বাস্তবতার প্রতিফলন দেখান। মানসিক সমস্যায় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করুন। বিশেষজ্ঞ মানসিক ডাক্তারের চিকিৎসা নিন। ওষুধ খান। নিয়মিত সাইকোথেরাপি নিন। আত্মহত্যার পথ পরিহার করে ভালো থাকুন।
(ঢাকাটাইমস/১৮ মে/আরজেড)

মন্তব্য করুন