রাশিয়া আমাদের পরীক্ষিত বন্ধুপ্রতিম দেশ: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদেক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:০৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাশিয়া আমাদের পরীক্ষিত বন্ধুপ্রতিম দেশ। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যোগ দিয়ে বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব বলেন। এ সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ নিউক্লিয়াস যুগে প্রবেশ করল। আমাদের পরীক্ষিত বন্ধুপ্রতিম দেশ রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানাই। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আরেকটি পদক্ষেপ আমরা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, চুক্তির পর থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতা করে আসছেন। এর পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেও আমি ধন্যবাদ জানাই। ভারতও আমাদের এই নির্মাণকাজেও সহযোগিতা করেছে। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) তৎকালীন মহাপরিচালকের সঙ্গে ইউকের সদর দপ্তরের আমি আলোচনা করেছিলাম। নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং মনিটরিং করার ক্ষেত্রেও আমি তাদেরকে আহ্বান জানাই। সেই থেকে আইএইএ আমাদের এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এরপর আমি ২০১৭ সালে বিদুৎকেন্দ্রের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢালাই কাজে অংশগ্রহণ করি।

শেখ হাসিনা বলেন, বিদুৎকেন্দ্র যথাযথ পর্যবেক্ষণ করার জন্য রাশিয়া আমাদের জনবলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ভারতেও একই ধরনের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে, তাই ভারতেও আমাদের কিছু জনবলকে আমরা প্রশিক্ষণের জন্য পাঠিয়েছি। পরমাণু শক্তি আমরা শান্তি রক্ষায় ব্যবহার করবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র নির্মূল এবং পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি মেনে চলবো। বাংলাদেশে পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করেছি এবং একটি স্বাধীন পরমাণু শক্তি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছি। এই কর্তৃপক্ষ আইএইএর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। ২০১৩ সালে প্রকল্পটি (রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছি। এখন পর্যন্ত আপনার (পুতিন) সহযোগিতায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।

২০০৩ সালে প্রথম ইউনিট ও ২০০৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট এবং ২০০৬ সালে তৃতীয় ইউনিট চালু হবে। অচিরেই ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

সরকারপ্রধান বলেন, এই বিদ্যুৎ হচ্ছে অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব, এটা হলো বড় কথা৷ এ বিদ্যুতের জন্য একটি কোম্পানিও আমরা গঠন করেছি। কোনো দুর্যোগে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে ডিজাইন প্রণয়ন করে নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। এছাড়া ব্যবহৃত জ্বালানি ব্যবস্থাপনার জন্য রাশিয়ার ফেডারেশনের সঙ্গে আমরা চুক্তি করেছি। তারা আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে কথা দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রথম ব্যাচের হস্তান্তর সম্পর্কিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন। এরপর ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি এজেন্সির মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি। রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভও বক্তব্য দেন।

(ঢাকাটাইমস/০৫অক্টোবর/জেএ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

হজ পালনে সৌদি আরব গেছেন ১৫ হাজার ৫১৫ বাংলাদেশি

মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা আসছেন আজ

রপ্তানি করে পাটকে আরও উচ্চতায় নিতে হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে শিক্ষাথীদের দক্ষতা অর্জনে সহযোগিতায় আগ্রহী ফ্রান্স: পলক

আবারও দেশের সাত জেলার ওপর বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ

‘স্বপ্নজয়ী মা’ সম্মাননা পেলেন ১১ জন

হিন্দাল শারক্বীয়ার তিন সদস্য গ্রেপ্তার, নিখোঁজরা কি আছে এই তালিকায়?

লু’র সফরে ভিসানীতি ও র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ

আসন্ন বাজেটে সামাজিক সুরক্ষায় উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :