বঙ্গবন্ধু টানেলে সর্বনিম্ন ২০০ সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা টোল, জেনে নিন কোন গাড়ির কত

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৪৮| আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৫১
অ- অ+

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল পারাপারে যানবাহনকে সর্বনিম্ন দুশ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা টোল দিতে হবে।

কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল বাংলাদেশের প্রথম সুড়ঙ্গ পথ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদী তলদেশের প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথটি দক্ষিণ চট্টগ্রাম আর বন্দর নগরীকে যুক্ত করেছে।

টানেলের একটি প্রান্ত কর্ণফুলী নদীর ২ কিলোমিটার ভাটিতে পতেঙ্গাকে সংযুক্ত করেছে। আরেক প্রান্ত আনোয়ারা উপজেলার কাফকো সার কারখানার নিকটে পৌঁছেছে।

চলতি বছরের গত ১৩ জুলাই টানেলের টোল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে প্রাইভেটকার ও জিপকে সর্বনিম্ন টোল ২০০ টাকা আর ট্রাক ও ট্রেইলারকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা টোল দিতে হবে। ট্রেইলারের ক্ষেত্রে নির্ধারিত টোলের সঙ্গে প্রতিটি এক্সেলের জন্য আরও ২০০ টাকা করে বাড়তি দিতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পিকআপ ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ২৫০ টাকা, বাস (৩১ সিটের কম) ৩০০ টাকা, বাস (৩২ আসনের বেশি) ৪০০ টাকা, বাস (৩ এক্সেল) ৫০০ টাকা, ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ৪০০ টাকা, ট্রাক (৫ দশমিক ০১ থেকে ৮ টন) ৫০০ টাকা, ট্রাক (৮ দশমিক ০১ থেকে ১১ টন) ৬০০ টাকা, ট্রাক ও ট্রেইলার (৩ এক্সেল) ৮০০ টাকা, ট্রাক ও ট্রেইলার (৪ এক্সেল) ১০০০ টাকা এবং চার এক্সেলের বেশি ট্রাক ও ট্রেইলারগুলোকে ১০০০ টাকার সঙ্গে প্রতি এক্সেলের জন্য আরও ২০০ টাকা করে টোল দিতে হবে।

দুই টিউব বিশিষ্ট চার লেনের টানেল প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৬১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আর বাকি ৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা চায়না এক্সিম ব্যাংকের ঋণ সহায়তা।

প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার। এর মধ্যে মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩১৫ কিলোমিটার। কর্ণফুলী নদীর মধ্যভাগে এ টানেলের গভীরতা ১৫০ ফুট। আনোয়ারা প্রান্তে ব্রিজ-ভায়াডাক্টের দৈর্ঘ্য ৭২৭ মিটার। অ্যাপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার। টোল প্লাজার দৈর্ঘ্য ৭ হাজার ৬০০ বর্গমিটার।

আনোয়ারা প্রান্তে পাঁচটি ও পতেঙ্গা প্রান্তে একটি আন্ডার পাস। কালভার্ট ১২টি। সার্ভিস এরিয়ার ৩০টি বাংলো। এছাড়াও একটি ভিআইপি বাংলোসহ মোটেল মেস, হেলনা সেন্টার, কনভেনশন সেন্টার, জাদুঘর, সুইমিংপুল, ব্রিজ, মসজিদ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা রয়েছে।

চীনের সাংহাই শহরের ন্যায় চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি অ্যান্ড টু টাউন’ মডেলে গড়ে তুলতে ২০১৫ সালের ৩০ জুন টানেল নির্মাণে বাণিজ্যিক চুক্তি হয়। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিল চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। প্রধানমন্ত্রী টানেলের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন।

বঙ্গবন্ধু টানেলের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে বলে আশা করছে সরকার। এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম কোনো নদীর তলদেশে নির্মিত এই সুড়ঙ্গপথ।

(ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/ডিএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পদ্মা সেতুর তিন বছরপূর্তি আজ, টোল আদায় আড়াই হাজার কোটি টাকা
২০ মাসে ইরানসহ পাঁচ দেশে ৩৪ হাজারের বেশি হামলা ইসরায়েলের
ঘুষ-দুর্নীতির দায়ে ওসি থেকে এসআই হলেন মাসুদ
আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান: ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা