মানুষ পুড়িয়ে মেরে কিছুই অর্জন করা যায় না: প্রধানমন্ত্রী
মানুষ পুড়িয়ে মেরে কিছুই অর্জন করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আবারও শুরু হয়েছে অগ্নিসন্ত্রাস। কীভাবে একটা মানুষ জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে? এটা ভুল। অগ্নিসংযোগকারীদের মধ্যে চেতনা ফিরে আসুক।’ খবর ইউএনবির।
মঙ্গলবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীরত্ব পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) নির্বাচিত ১১ জন সদস্যের মধ্যে অসামান্য অবদানের জন্য শান্তিকালীন পদক প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু অর্জন করতে হলে জনগণের শক্তি প্রয়োজন, জনগণের পাশে থাকতে হবে এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। জনগণের ক্ষতি করে বা মানুষকে পুড়িয়ে কিছুই অর্জন করা যায় না।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অগ্রযাত্রা শুরু হবে। তার প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। কিন্তু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। কেননা নানা ধরনের চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র চলছে।’
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ পরিবর্তন হয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। আমাদের উন্নয়নটা শুধু শহরভিত্তিক নয়, গ্রামে গ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দিতে পেরেছি। আমরা ট্রেনিং দিয়ে ছেলেমেয়েদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলছি। যাতে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি। আমাদের সরকার হবে স্মার্ট সরকার। আমাদের সমাজব্যবস্থা হবে স্মার্ট সোসাইটি। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সেটা ধরে রেখেই আমাদের উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণ চালায়, যা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়কে ত্বরান্বিত করে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর এই ঐতিহাসিক দিনটি সশস্ত্রবাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়।
(ঢাকাটাইমস/ ২১নভেম্বর/কেএ)