কুড়িগ্রামে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা হলে ছাড় নয়: এসপি

কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সব শ্রেণি পেশার মানুষের নিরাপত্তা ও নানাবিধ পুলিশি কার্যক্রম নিয়েছে জেলা পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় জেলার নির্বাচনি এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। আগামী ২১ তারিখ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত নানা প্রকার পুলিশিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে সহিংসতা হলে কোনো প্রকার ছাড় দিবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুস্থ, সুন্দর, নান্দনিক গতিশীল ও অগ্রসরমাণ কুড়িগ্রামের নাগরিক নিরাপত্তা ও একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় পুলিশ। এ লক্ষ্যে কঠোর ও নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে সপ্তাহব্যাপী কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর ও রাজারহাট উপজেলায় নিরবচ্ছিন্ন পুলিশিং কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে জেলা পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে কুড়িগ্রাম সদরের সমন্বিত এই কার্যক্রমে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত একটি পুরুষ কিউআরটি, একটি নারী কিউআরটি এবং ডিবির একটি দক্ষ টিমসহ বিশেষ শাখার সদস্যবৃন্দ। সদর ও রাজারহাট উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এ কে এম ওহিদুন্নবী, উলিপুর উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উলিপুর সার্কেল) মোহাম্মাদ মহিবুল ইসলাম প্রতিদিন পুলিশ পেট্রলিংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পুলিশের এই অপরাধ নিবারণী কার্যক্রমের প্রশংসা করছেন সাধারণ ভোটাররা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পৌর বাজারের ব্যবসায়ী আবু মিয়া বলেন, আগামী ২১ তারিখ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। তবে এবারের নির্বাচনটা একটু ব্যতিক্রম। কয়েকদিন থেকে দেখছি পুলিশ খুব দৌড়াদৌড়ি করছে। আমি ধারণা করে নিয়েছি নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ এমন তৎপর হয়েছে। পুলিশ এমন অবস্থানে থাকলে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে বলে বিশ্বাস করি।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, ১ম ধাপের মতো আমরা ২য় ধাপেও অত্যন্ত সততা, হাড়ভাঙা পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কঠোর অবস্থানে আছি। নির্বাচনকে ঘিরে কেউ যদি সহিংসতার পাঁয়তারা করে, সে যেই হোক তাকে আমরা প্রণিধানযোগ্য আইনের কাঠগড়ায় আনতে বদ্ধ পরিকর।
(ঢাকাটাইমস/১৭মে/প্রতিনিধি/পিএস)

মন্তব্য করুন