সীমান্তে পুশইন নিয়ে সরকার নীরব, কোথায় পাওয়ারফুল খোদা বখস: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১১ মে ২০২৫, ১৬:৪৪| আপডেট : ১১ মে ২০২৫, ১৭:১৯
অ- অ+

বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে ভারত পুশইন করছে, এসব বিষয়ে সরকার নীরব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষ সহকারী এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি অভিযোগ করে জানতে চান, কোথায় সরকারের পাওয়ারফুল সহকারী খোদা বখস।

রবিবার (১১ মে) বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরামের এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, আমরা শুনেছি একজন খুব শক্তিশালী উপদেষ্টা রয়েছেন। যিনি সমস্ত স্বরাষ্ট্র ব্যবস্থাটা দেখেন, তার নাম খোদা বখস। তিনি নাকি খুব পাওয়ারফুল! আবার এটাও শুনি তিনি নাকি বিএনপিকে খুব একটা পছন্দ করেন না। নিজের মতো করে সব গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। এত শক্তিশালী উপদেষ্টা থাকার পরও আজকে এই ধরনের (পুশ ইন) পরিস্থিতি কেন হচ্ছে?

সাতক্ষীরা-কুড়িগ্রাম-খাগড়াছড়ি-মৌলভীবাজার জেলাগুলোর সীমান্ত দিয়ে ভারত বাংলাদেশে লোক পুশইন করছে উল্লেখ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এসব বিষয়ে সরকার তো একটা কথাও বলেনি। কোথায় খোদা বখস? কোথায় সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তর? কোথায় সরকার? তারা তো পুশইন বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনায করে রিজভী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশের লোক জোর করে ঢুকিয়ে দিতে চান? বাংলাদেশে আমাদের কি অত্যন্ত দুর্বল জাতি মনে করছেন আপনারা? মুক্তিযুদ্ধ হওয়া একটা জাতি, ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দেয়া একটা জাতি, দেড় হাজার শিশু-বাচ্চা-তরুণের জীবন দেয়া একটা জাতি, সেই জাতিকে পার্শ্ববর্তী দেশ তার ইচ্ছামতো বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে লোক ঢুকাবে আর আপনারা নিশ্চুপ, টু শব্দও করছেন না এর কারণ কী?

এ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বিগত শেখ হাসিনা আমলের প্রসঙ্গ টানেন। বর্তমান সরকার সীমান্ত নিয়ে শেখ হাসিনার মতই ভুমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, আমাদের সীমান্তে লোক হত্যা করলে শেখ হাসিনা একটা প্রতিবাদও করতেন না, টু শব্দও করতেন না। আপনারাও কেন আজকে একেবারে নিশ্চুপ-নিরুত্তর? এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তো সমস্ত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সমর্থন করেছে, তারপরও কোন সাহসে পার্শ্ববর্তী দেশ জোর করে তাদের লোক আমাদের সীমান্ত দিয়ে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

জনরোষে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মানুষ অনেক প্রত্যাশা করেছিল উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তারা সংস্কারের কথা বলেছে জনগণ সে সংস্কারও মেনে নিয়েছে। জনগণ চায় একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংস্কার করে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আরো অনেকেই বলেছে এমনকি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও এই কথা বলেছে। আজকেও সংবাদমাধ্যমে দেখলাম কবিতা পরিষদ দ্রুত একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছে। কিন্তু সরকার এই ব্যাপারে নিরুত্তর, নিশ্চুপ। কিন্তু কেন? তাদের উদ্দেশ্যটা কি? এখন তো মানুষ ধীরে ধীরে নানা ধরনের সন্দেহ করছে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সবচাইতে বড় সন্দেহ হচ্ছে যে সাবেক রাষ্ট্রপতি যিনি খুনের মামলার আসামি তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেলেন। গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই, গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই এরা ক্লিয়ারেন্স না দিলে কি করে উনি যেতে পারেন? তিনি এমন রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য তার বিচার হওয়া উচিত, তিনি কী করে বিদেশে চলে গেলেন।

আব্দুল হামিদকে ফ্যাসিবাদের প্রতিনিধি হিসেবে অভিহিত করে রিজভী বলেন, উনি তো শেখ হাসিনার যে মাইন্ড সেট, যে মানসিকতা উনারও সেই মানসিকতা। তার লাল পাসপোর্ট বাতিল করা হয়নি কেন?

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য রমেশ দত্ত, বৌদ্ধ ফোরামের নেতা সুশীল বড়ুয়া, প্রার্থ প্রতিম বড়ুয়া অপু প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১১মে/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গভীর রাত হলেই পদ্মায় শুরু হয় বালু উত্তোলনের মহোৎসব
রক্তমাখা কুড়াল আর গোলাপ নিয়ে ফারিণের এ কেমন ‘ইনসাফ’
দিনাজপুরে সড়কে ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ভয়াবহ ধস নেমেছে ভারতের পর্যটন শিল্পে
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা