নোয়াখালীতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া মেটাতে নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, আটক ২

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৩৬
অ- অ+

নোয়াখালী পৌর এলাকায় স্বামী ও স্ত্রীর ঝগড়া মীমাংসার জন্য দোতলা বাড়িতে নিয়ে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার সময় দুজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। আটক দুই ব্যক্তির নাম হানিফ (২৯) কামরুল (৪৫)

রোববার বিকেলে মাইজদী পৌর বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। হানিফ সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের ওলি উল্যার ছেলে এবং কামরুল একই ইউনিয়নের বাহাদিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ জানান, গত শুক্রবার ভোরে সুবর্ণচরে তাদের বাড়ি থেকে পারিবারিক বিষয়ে রাগ করে মাইজদী চলে যান তার স্বামী। স্বামীর পিছু পিছু অন্য একটি গাড়িতে মাইজদী পৌর বাজার আসেন তিনি। সকাল সাতটার দিকে তারা দুজন পৌর বাজারের একটি দোকানের সামনে বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হন।

একপর্যায়ে হানিফসহ দুজন এসে গৃহবধূর কাছে তার স্বামীর পরিচয় জানতে চায়। স্বামী পরিচয় দেওয়ার পরও হানিফসহ দুজন তার স্বামীকে মারধর শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে তাদের দুজনকে পৌর বাজারের একটি পরিত্যক্ত ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায়। সেখানে হানিফদের সাথে আরও -৫জন যুক্ত হয়ে স্বামীকে একটি কক্ষে স্ত্রীকে আরেকটি কক্ষে নিয়ে যায়।

পরে বিষয়টি তার স্বামী মোবাইলে মাইজদীর বাসায় তার মাকে জানালে মা ছোট ভাই ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির নিচে থাকা আরও কয়েকজন তার মা ছোট ভাইকে একই কক্ষে এনে আটকে রাখে। পরে তারা পাশের কক্ষে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় তিনি দ্বিতীয় তলার ছাদ থেকে নিচে লাফিয়ে পড়েন।

ভুক্তভোগীর শাশুড়ি বলেন, গৃহবধূর লাফিয়ে পড়া ও চিৎকার শুনে তারা তিনজন ওই কক্ষ থেকে বের হয়ে দেখেন তিনি নিচে আহত অবস্থায় পড়ে আছেন। ওই যুবকরা আবারও তাকে টেনে হিঁচড়ে দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।

পরে আহত অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাম পা ভেঙে গেছে।

পরে বিষয়টি তারা পৌর বাজার ব্যবসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম মুক্তাকে জানান। এর মাঝে এক দিন তারা গৃহবধূর চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় থানায় অভিযোগ করতে পারেন নি।

পৌর বাজার ব্যবসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম মুক্তা জানান, ঘটনার দিন তিনি নোয়াখালীর বাইরে ছিলেন। পরদিন নোয়াখালী আসার পর তিনি আহত গৃহধূকে হাসপাতাল দেখতে যান এবং তার কাছ থেকে ঘটনার বিষয়টি শুনে স্থানীয়দের কাছ থেকে ওই যুবকদের তথ্য নেন।

আজ রোববার বিকেলে তাদের মধ্যে হানিফ কামরুলকে পৌর বাজারে দেখতে পেয়ে লোকজন আটক করে। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে তারা প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন বলে জানান বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তদের আটক করেছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।

(ঢাকাটাইমস/২৪আগস্ট/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন সাকিব
‘আমার স্ত্রী ছয় মাসের প্রেগন্যান্ট’, গ্রেপ্তারের পর পুলিশকে যে ভয়ের কথা বললেন তৌহিদ আফ্রিদি
হবিগঞ্জে অনুমতি ছাড়া দাঁড়ি রাখায় তিন কনস্টেবলকে শাস্তি
ট্রাক চালকের আসনের নিচে লুকানো ছিল ১৮ হাজার পিস ইয়াবা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা