বাংলাদেশ দারিদ্র্যতার হার হ্রাসে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে: বাকৃবি উপাচার্য
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পর আমরা শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও দারিদ্রতার হার হ্রাসসহ নানা দিক দিয়ে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে গিয়েছি। এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের উন্নয়ন ও মানুষের জীবনযাত্রার মানের দিক দিয়ে আমরা দ্রুতই ভারত, পাকিস্তানসহ প্রতিবেশি দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যাবো।’
এরআগে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনীর আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ ‘মরণসাগরে’ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। এ সময় শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
পরে বিজয় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘যে স্বপ্ন নিয়ে বীর সন্তানরা আত্মত্যাগ করেছেন তা সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়িত হবে যখন আমরা দুঃখ, দারিদ্রতা ও কষ্ট মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারবো। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দ্রুতই চার হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ফলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতার থেকে উন্নত দেশের কাতারে উন্নীত হবে। উন্নয়নের এই ধারাকে বজায় রাখতে স্বাধীনতার চেতনা ও দেশের ইতিহাস সবসময় আমাদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।’
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তারা স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে জাতীয় সংহতি ও অগ্রগতির জন্য মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এরসঙ্গে বিকাল ৩টায় আবাসিক হলগুলোতে প্রীতি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৬ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/জেডএম)