যেসব ফল একসঙ্গে খেলে বিপদের আর শেষ থাকবে না

নতুন করে আবার করোনার নতুন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী। এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। চিকিৎসকরা বলছেন, এই সময় নানা ধরনের ফল খাওয়ার খুব প্রয়োজন। তাতে যে কোনো ধরনের শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের শরীর অনেক বেশি প্রস্তুত থাকতে পারবে।
শরীরের যত্ন নিতে ফলের ভূমিকা অপরিহার্য। পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকদের মতে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তত একটি করে ফল রাখা প্রয়োজন। ভিটামিন, মিনারেলস, কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ ফল ওজন কমানো থেকে শুরু করে ত্বকের যত্ন— সবেতেই সিদ্ধহস্ত। ফলের উপকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের জায়গা নেই।
কিন্তু সব কিছুরই তো খারাপ এবং ভালো দিক রয়েছে। ফল খেলে এমনিতে কোনো অপকারিতা নেই। তবে কিছু ফল একসঙ্গে খেলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চলুন আর দেরি না করে জেনে আসি সেসব ফল সম্পর্কে।
কমলালেবু এবং গাজর
এই দুটি ফলই শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তবে গাজর এবং কমলালেবু একসঙ্গে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এতে গ্যাস, কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আঙুর এবং খেজুর
আঙুর এমনিতে শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে বেশি খেলে অম্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই সমস্যা আরও বড় আকারে দেখা দিতে পারে যদি আঙুরের সঙ্গে খেজুর খান। আঙুর এবং খেজুর একসঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়।
পেয়ারা এবং কলা
পেয়ারাতে অ্যাসিড জাতীয় উপাদান থাকে। অন্যদিকে কলাতে শকর্রার ভাগ বেশি। শর্করা আর অ্যাসিড যদি একসঙ্গে জোট বাঁধে, সে ক্ষেত্রে গ্যাস, অম্বল, বদহজম, মাথা ঘোরা, এমনকি, ক্লান্তির মতো শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।
পেঁপে এবং লেবু
অনেকেই পেঁপের উপর লেবুর রস ছড়িয়ে খান। এতে স্বাদ অনেক গুণ বেড়ে গেলেও এই দুটি ফল একসঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়। পেঁপে এবং লেবু একসঙ্গে খেলে রক্তস্বল্পতা এবং হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে এই দুটি ফল একসঙ্গে না খাওয়াই ভালো।
টকের সঙ্গে মিষ্টি নয়
টকজাতীয় ফল যেমন আঙুর, স্ট্রবেরি, আপেল, বেদানা ইত্যাদির সঙ্গে মিষ্টি ফল যেমন কলা বা কিশমিশ মেশানো যাবে না। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, এই মিশ্রণের কারণে বমিভাব, মাথাব্যথা ইত্যাদি হতে পারে।
তরমুজ এবং অন্যান্য ফল
তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি। হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে তরমুজ। তরমুজের সঙ্গে অন্য কোনও ফল খেলে হজমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
শ্বেতসারজাতীয় ফলের সঙ্গে প্রোটিন-সমৃদ্ধ ফল নয়
‘স্টার্চ’ বা শ্বেতসারজাতীয় ফলের মধ্যে কাঁচাকলাই সবচাইতে সহজলভ্য, তবে এই স্বাদের সবজি আছে কয়েকটি যেমন- ভুট্টা, আলু, পানিফল ইত্যাদি। এদের সঙ্গে প্রোটিনসমৃদ্ধ ফল ও সবজি যেমন- কিশমিশ, পেয়ারা, পালংশাক, ব্রকলি ইত্যাদি কখনও মেশানো উচিত নয়।
কারণ প্রোটিন হজম করতে শরীরে চাই ‘অ্যাসিডিক বেইস’ আর শ্বেতসারজাতীয় খাবার হজম করতে চাই ‘অ্যালকালাইন বেইস’।
যেভাবে খেলে উপকার পাবেন
একসঙ্গে ৪ থেকে ৬টি ফল মিশিয়ে খেতে হবে। রাতের খাবারে প্রচুর প্রোটিন থাকলে পরদিন সকালে পেঁপে খেতে হবে। কারণ এতে থাকে ‘পাপাইন’ যা প্রোটিন ভাঙতে সহায়ক।
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া হলে পরদিন সকালে পানিসমৃদ্ধ ফল যেমন- তরমুজ খেতে হবে।
অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া পড়লে পরদিন সকালে খেতে হবে আপেল। কারণ এই ফল জটিল বা ‘কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেইট’ ভাঙতে শরীরকে সাহায্য করে। ফলে শরীরে ফোলাভাব দেখা দেয় না।
(ঢাকাটাইমস/২৬ ডিসেম্বর/এজে)

মন্তব্য করুন