যেসব দেশে ফেসবুক ব্যবহার অপরাধ

সব থেকে বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলোর মধ্যে একটি ফেসবুক। প্রায় সবারই দৈনন্দিন জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এই সামাজিক মাধ্যমটি। বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে ব্যাক্তিগত জীবন পর্যন্ত সবকিছুর ওপরই প্রভাব রয়েছে এর। এখনকার সময়ে ফেসবুক থেকে মাত্র এক সপ্তাহ বিচ্ছিন্ন থাকার কথা ভাবলেও জীবন যেন থমকে যাবে।
কিন্তু আধুনিক এই মুক্ত বিশ্বে অবাক করা তথ্য হলেও চীনসহ এমনও কয়েকটি দেশ রয়েছে যেখানে ফেসবুক নিষিদ্ধ। এমনকি সেসব দেশের সাধারণ মানুষ চাইলেও গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারে না। চলুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন দেশে ফেসবুক নাই…
চীন
জিনজিয়াং প্রদেশে মারাত্মক দাঙ্গার পর কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারি ক্র্যাকডাউনের অংশ হিসাবে ২০০৯ সাল থেকে চীনে ফেসবুক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। মেটার মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ ও এর ফটো এবং ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রামও নিষিদ্ধ পূর্ব এশিয়ার এই দেশে।
ফেসবুক নিষিদ্ধ দেশের তালিকার পরের নামটি ইরান
২০০৯ সালে দেশটির নির্বাচনে বিতর্ক উঠলে গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে ইরানে ফেসবুক নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও কিছু ব্যবহারকারী ভিপিএন ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাক্সেস করে থাকেন। তবে, সেদেশের সরকার ভিপিএন -এর ব্যবহারও আইনত অপরাধ ঘোষণা করে। লুকিয়ে কেউ পশ্চিমা এই সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে ধরা পড়লে তাকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়।
উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৬ সালে ফেসবুক ব্লক করে এবং ঘোষণা করে যে, কেউ ‘অনুপযুক্ত’ উপায়ে ফেসবুক অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করলে বা এর থেকে ‘প্রজাতন্ত্র বিরোধী ডেটা’ বিতরণ করলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।
তুর্কমেনিস্তান
প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের স্বাধীন রাষ্ট্র মধ্য এশিয়ার তুর্কমেনিস্তান সরকারও ফেসবুক নিষিদ্ধ করেছে৷ ফেসবুক ব্লক করার পাশাপাশি তুর্কমেনিস্তানে হোম ইন্টারনেট সংযোগের জন্য সাইন আপ করার সময় পবিত্র কোরআনের শপথ নিতে বলা হয়। শপথ করানো হয় যে, তারা ভিপিএন অ্যাক্সেস করবে না। এসময় শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ সাইটগুলিতে অ্যাক্সেস করার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে হয়।
তালিকার পঞ্চম দেশটির নাম কিউবা
কিউবায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফেসবুক নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু এটি অ্যাক্সেস করা খুব কঠিন। শুধুমাত্র রাজনীতিবিদ, কিছু সাংবাদিক এবং মেডিকেল স্টুডেন্টরা তাদের বাড়ি থেকে আইনত ওয়েব অ্যাক্সেস করতে পারেন। অন্য সবার জন্য অনলাইন জগতের সঙ্গে আইনিভাবে সংযোগ করার একমাত্র উপায় হল ইন্টারনেট ক্যাফে।
(ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/এমএস/এসআইএস)

মন্তব্য করুন