বরগুনায় মসজিদের পাশে মাসব্যাপী মেলায় অশ্লীল নৃত্য-বাদ্যবাজনা, ক্ষুব্ধ মুসল্লিরা

বরগুনা প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৩

বরগুনা সদর উপজেলার বিসিক শিল্প নগরী জামে মসজিদ ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে গত ২৯ জানুয়ারি থেকে চলছে মাসব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলা। সেখানে প্রতিদিনই অবাধে চলছে অশ্লীল নৃত্য ও অবৈধ লটারি বিক্রি। সরেজমিনে মেলা ঘুরে এসব দৃশ্য দেখা গেছে।

এছাড়া বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র ও সার্কাসের প্রতিনিয়ত শব্দ দূষণে মসজিদের মুসল্লি এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নামাজসহ নানা ইবাদাতে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিনই। এমনই অভিযোগ করেছেন মসজিদের মুসল্লি এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।

বিসিক শিল্প নগরী জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ ইব্রাহীম জানান, মুসল্লিরা নানা সমস্যায় আছেন। নামাজ শেষ হওয়ার আগেই মেলায় বেজে উঠছে নানারকম বাদ্যযন্ত্র, চলছে অশ্লীল নৃত্য। মসজিদের সামনে ভাসমান দোকান, গাড়ি পার্কিং। মসজিদের টয়লেট ব্যবহার করছে মেলায় আগত নারী-পুরুষরা।

ইমাম হাফেজ ইব্রাহীম অভিযোগ করেন, ‘এখানে যেন মাসব্যাপী এই মেলার অনুমোদন না দেওয়া হয়, তার জন্য একাধিকবার আবেদন করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।’

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজু পঞ্চাইত জানান, ‘মসজিদের পাশে এমন একটি দীর্ঘমেয়াদী মেলা বেমানান। আমরা অসহায়। কী করব বুঝতে পারছি না। অযুখানায়, টয়লেটে সারাদিন বহিরাগত বেনামাজিদের ভীড় লেগে থাকে। সঙ্গে সারা দিন-রাত বাদ্যবাজনা আর সার্কাসের শব্দদূষণ তো আছেই।’

বরগুনা ইসলামী ফাউন্ডেশনের জেলা সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় যে কোনো বাদ্যযন্ত্র শরিয়ত সম্মত নয়। মসজিদের ইবাদাতের ক্ষতি হয় এমন কাজের বৈধতা ইসলাম কাউকে দেয়নি।’

সামনে এসএসসি পরীক্ষা ও রমজান মাস। ফলে এই মেলাকে ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কেউ কিছু বলতে বা করতে পারছে না। এই মেলাকে ঘিরে এলাকায় চুরিসহ নানা অপরাধ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

মন্ত্রণালয়ের লটারি বিক্রির অনুমোদন না থাকলেও প্রবেশ টিকেটের নামে লটারি তৈরি করে বিক্রি হচ্ছে জেলাব্যাপী। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলামের নির্দেশে প্রত্যেক উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমিগণ এই অবৈধ লটারি বিক্রেতাদের জরিমানাসহ তা বন্ধের ব্যবস্থা নিয়েছেন।

তবুও থেমে নেই অবৈধ লটারি বিক্রি। বরগুনা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে এসব লটারি বিক্রি।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর উপজেলার সহকারী ভূমি চন্দন কর বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় বসে যারা অবৈধ লটারি বিক্রি করে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি, ধরে জরিমানাও করছি। আশা করছি, অচিরেই এসব অবৈধ লটারি বিক্রি বন্ধ হবে।’

(ঢাকাটাইমস/০২ফেব্রুয়ারি/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :