সাতক্ষীরায় জমির বিরোধে দুজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ৪

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই ঘের কর্মচারীকে নির্যাতনের পর মালিককে বাড়ি থেকে তুলে এনে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন হরিণখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ও আহত চারজনকে আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- পাটকেলঘাটা থানাধীন হরিণখোলা গ্রামের অভিরাম মণ্ডলের ছেলে অলঙ্গ মন্ডল (৬১), তার ভাই জগদীশ মন্ডল (৪৫), ঘেরের পাহারাদার বীরেন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে বিশ্বনাথ মন্ডল (৫৩) ও ঘেরকর্মচারি আসননগর গ্রামের নারদ মুন্ডার ছেলে শ্রীপদ মুন্ডা (৩০)।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অলঙ্গ মন্ডল জানান, হরিণখোলা বিলে ১০০ বিঘা জমিতে দীর্ঘদিন ধরে তিনি চিংড়ি ঘের পরিচালনা করে আসছেন। এর মধ্যে চার বিঘা সরকারি খাস জমির লিজের টাকা হরিণখোলা গ্রামের কার্তিক মন্ডলকে না দিয়ে জমির মালিক দাবিদার স্বপন মন্ডলকে দেওয়ায় ২০২২ সাল থেকে তাদের সঙ্গে কার্তিক মণ্ডলের বিরোধ চলে আসছিলো। এ ছাড়া পাঁচ শতক জমি নিয়ে কাকাতো ভাই শিব শেখরের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে সালিশি বৈঠক হয়েছে কয়েকবার। রয়েছে আদালতে মামলাও।এরই জেরে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার ঘের কর্মচারী বিশ্বনাথ মন্ডল ও পার্শ্ববর্তী দীলিপ মণ্ডলের ঘের কর্মচারী শ্রীপদ মুন্ডাকে ঘেরের বাসা থেকে মুখোশধারী ৭-৮ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ডেকে তুলে নির্যাতনের পর তার বাড়ির সামনে আনা হয়। পরে সোমবার ভোর রাত দেড়টার দিকে তাকে ও ভাই জগদীশকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বুকে সট গান দিয়ে গুলি করার চেষ্টা করলে তারা সট গান ধরে ফেলেন। একপর্যায়ে তার দুই উরুতে ও ভাই জগদীশের ডান উরু গুলিবিদ্ধ হয়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাদের দুই ভাই ও দুই ঘের কর্মচারীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাহফুজুর রহমান ও অর্থোপেডিকস সার্জন ডা. হাফিজুল্লাহ জানান, অলঙ্গ মণ্ডলের দুই উরুতে ও জগদীশ মণ্ডলের ডান উরুতে গুলি লেগে বিপরীত দিক থেকে বেরিয়ে গেছে।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ সোমবার সকালে জানান, জমি ও ঘের নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরোধের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তবে গুলির ঘটনা ঠিক নয় বলে দাবি করে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকা টাইমস/০৫ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এসএ)

মন্তব্য করুন