সিঙ্গাইরে শিক্ষার্থীদের রাস্তা বন্ধ করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ 

সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩২

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে দীর্ঘদিনের ব্যবহারের রাস্তা বন্ধ করে ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে আওলাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সিঙ্গাইর পৌর এলাকার ঘোনাপাড়া গ্রামের ওই রাস্তাটি বন্ধ করায় তিন গ্রামের সাধারণ মানুষ ও একটি বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। উল্টো অভিযোগকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গাইর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোনাপাড়া-বকচর গ্রামের সংযোগের রাস্তাটি দিয়ে দীর্ঘ ১৫-২০ বছর যাবৎ সাধারণ মানুষ ও একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে আসছে। ওই রাস্তার পাশের একটি জমি কেনেন বলধারা ইউনিয়নের পারিল গ্রামের আওলাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি। জমিটি কেনার পর আওলাদ হোসেন দীর্ঘ দিনের ব্যবহারের রাস্তাটি বন্ধ করে একটি ভবন নির্মাণ শুরু করেন। এতে ভোগান্তিতে পড়ে কয়েকটি গ্রামের হাজার খানেক সাধারণ মানুষ। বেশি অসুবিধা হচ্ছে গোবিন্দল-ঘোনাপাড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। রাস্তাটি বন্ধ করায় প্রায় ১ কিলোমিটার ঘুরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে শিক্ষার্থীদের চলাচল করতে হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার মাহি বলেন, এই রাস্তা দিয়ে আমরা সহজে স্কুলে আসা-যাওয়া করতাম। রাস্তাটি বন্ধ করায় খুবই অসুবিধা হচ্ছে। রাস্তাটি পুনরায় উদ্ধার করে চলাচলের অনুপযোগী করার দাবি জানাই প্রশাসনের কাছে।

গোবিন্ধল-ঘোনাপাড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি বন্ধ করায় তিন গ্রামের শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে বকচর, বিনোদপুর ও নয়াপাড়া গ্রামের শিক্ষার্থীরা সহজে স্কুলে আসা-যাওয়া করতো। রাস্তাটি বন্ধ করায় শিক্ষার্থীদের চরম অসুবিধা হচ্ছে।

স্থানীয় আখতারুজ্জামান সোহেল বলেন, রাস্তাটি সচল রাখার জন্য এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষর দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছি না। উল্টো আমাকেসহ অভিযোগকারীদের ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন প্রভাবশালী আওলাদ হোসেন।

এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়ার কথা স্বীকার করে আওলাদ হোসেন বলেন, আমার জায়গা দিয়ে কি কারণে আমি রাস্তা দেব। রাস্তা নিলে আমার সাথে সমঝোতা করে নিতে হবে।

সিঙ্গাইর পৌর মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার বলেন, একটি রাস্তা দখলের বিষয়ে গণসাক্ষর সহ একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা নোটিশ করেছি। কিন্তু নোটিশ অমান্য করে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। রাস্তা দখল করার কোনো সুযোগ নেই। পৌরসভার নিয়ম অনুযায়ী কোনো স্থাপনা করতে চাইলে তিন ফিট জায়গা রেখে স্থাপনার কাজ করতে হবে। আমরা পৌরসভার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার বসু বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গণস্বাক্ষরসহ একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। খুব দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকা টাইমস/০৬ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :